পুনরুদ্ধার করা জরুরি
![](https://dailyprobaha.com.bd/wp-content/uploads/2023/11/post-fp.webp)
খাল দখল
রাজধানীর অধিকাংশ খাল দখল ও ভরাট করে স্বার্থান্বেষী মহল নানা ধরনের স্থাপনা গড়েছে, আবার সেই খাল পুনরুদ্ধারের ঘটনাও ঘটেছে। অর্থাৎ খাল দখল ও ভরাট এবং পুনরুদ্ধার-এই চক্রের মধ্যে পড়েছে রাজধানীর খালগুলো। কাজের মধ্যে যা হয়েছে, সরকারের গচ্চা গেছে কোটি কোটি টাকা। এমন এক পরিস্থিতিতে রাজধানীর ৬ খালের পুনরুদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে । ঢাকার খালগুলোর মধ্যে বাউনিয়া, রূপনগর, বেগুনবাড়ী ও কড়াইল তিনবার দখলমুক্ত করা হয়েছিল। মান্ডা ও কালুনগর খাল ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালিয়ে দখলমুক্ত রাখা হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, সীমানা নির্ধারণ না করার কারণেই মূলত খালগুলো স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত রাখা যাচ্ছে না, টেকসই উন্নয়নও সম্ভব হচ্ছে না। বিগত আমলে যখন সীমানা নির্ধারণের কাজ চলছিল, তখন কোন রেকর্ড ধরে তা নির্ধারণ করা উচিত, সে ব্যাপারে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। একটা বড় সমস্যা এই যে, সিএস রেকর্ড ধরলে খাল উদ্ধারের কাজ জটিল হয়ে পড়ে। কারণ আরএস এবং বিএস রেকর্ড অনুসরণ করে বড় বড় স্থাপনা গড়ে উঠেছে। আমাদের কথা হলো, কোন আইনে অথবা কোন রেকর্ডে খালগুলো পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে, সে প্রশ্নের চেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, রাজধানীর সব খাল পুনরুদ্ধার করতে হবে। ঢাকায় খালের সংখ্যা ১৯। প্রতিটি খালই পর্যায়ক্রমিকভাবে উদ্ধার করার মাস্টারপ্ল্যান করা দরকার। গত ১৬ বছরে রাজধানীর খালগুলো নিয়ে যা-তা হয়েছে। প্রভাবশালীরা এগুলো দখল করে নানারকম বাণিজ্যে নেমেছিলেন। অনেক খাল দূষণেরও শিকার হয়েছিল। ফলে খালগুলো শুধু পুনরুদ্ধার করলে চলবে না, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কীভাবে উন্নত করা যায়, তা নিয়েও ভাবতে হবে। আমরা সবাই একটি সুন্দর, নান্দনিক রাজধানী চাই। এই চাওয়া পূরণের একটি শর্ত হলো, এর খালগুলোর নতুন বিন্যাস ঘটানো। এটাও অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকতে হবে। এয়াড়া, খালগুলো দখলের কারণে প্রতিবছর বর্ষায় রাজধানীবাসীকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। আমরা চাই না, এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটুক। তাই রাজধানীর দখল হওয়া খালগুলোকে পুনরুদ্ধার করা অতি জরুরি।