জাতীয় সংবাদ

ময়মনসিংহে দুই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১

প্রবাহ রিপোর্ট : ময়মনসিংহের পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ফুলপুরে নিহতের সংখ্যা আটজন এবং তারাকান্দায় নিহতের সংখ্যা তিনজন। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হালুয়াঘাট টু ময়মনসিংহ সড়কের ফুলপুর উপজেলার কাজিয়াকান্দা ইন্দিরারপার এলাকায় যাত্রীবাহী মাহিন্দ্রর সঙ্গে বাসের দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে আরও দুইজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক মো. মাসুদ সরর্দার এবং ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিহতের মধ্যে একজন হলেন ধোবাউড়া থানার বরাটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারেকের স্ত্রী জবেদা খাতুন (৮৫) ও অপরজন ফুলপুর থানার মদিপুর সুতারপাড়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে রাকিবুল হাসান। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী বাংলা পরিবহনের একটি বাস হালুয়াঘাটের দিকে যাচ্ছিল। পথে কাজিয়াকান্দা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী একটি মাহিন্দ্রর সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুইজন মারা যান। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। এতে হালুয়াঘাট-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে ব্যাপক ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। মমেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মো. শফিক উদ্দিন বলেন, ফুলপুরে বাস ও মাহিন্দ্র দুর্ঘটনায় মমেক হাসপাতালে আহত ছয়জন ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্েয হাসপাতালে আসার পরেই অজ্ঞাতপরিচয় একজন এবং রাত সাড়ে ১১টার দিকে আট নম্বর ওয়ার্ডে পারভেজ (৪৫) নামে মাহেন্দ্র চালক মারা যান। এর আগে একই দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তারাকান্দা উপজেলার কোদালধর বাজার সংলগ্ন হিমালয় ফিলিং স্টেশনের সামনে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলেই আটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অটোরিকশার চালকসহ আরও তিন যাত্রীকে মমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্েয চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মারা যান সদর উপজেলার ১ নম্বর ঘাগড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. কোরবান আলীর ছেলে অটোরিকশা চালক মো. আলম (৪০)। এ নিয়ে তারাকান্দা দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনজনে। তবে এখনো নিহত অপর দুইজনের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। তারাকান্দা থানার ওসি মো. টিপু সুলতান বলেন, একটি অ্যাম্বুলেন্স হালুয়াঘাট যাচ্ছিল। পথে ময়মনসিংহগামী যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে ওসি। এদিকে পৃথক দুই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিকেলে এবং রাতেই ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আখতার উল আলম। তিনি বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক দুটি ঘটনারই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুর্ঘটনার শিকার অটোরিকশা, বাস এবং যানগুল চিরেচ্যাপ্টা ও দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অবস্থা দেখে মনে হয়েছে বেপরোয়া গতিই এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button