স্থানীয় সংবাদ

শিক্ষানবিশ ও তরুণ উদ্যোক্তা নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিউনিটি আউটরিচ সভা

স্টাফ রিপোর্টার ঃ শিক্ষানবিশ ও তরুণ উদ্যোক্তা নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিউনিটি আউটরিচ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় নগরীর জিরোপয়েন্টে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন এর আয়োজন করে। অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণের সুযোগ, সুবিধা ও যোগ্যতার মানদন্ড তুলে ধরা হয়। তরুণ উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রদানের শর্তাবলী ও নিয়মকানুন তুলে ধরা হয়। জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোঃ আজিজুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শওকত হোসেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জোনাল ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন। সঞ্চালনায় ছিলেন জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের উপসহকারী পরিচালক শেখ মোজাম্মেল হক। প্রধান অতিথি মোঃ শওকত হোসেন বলেন, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পাস তারা কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে তাদের জীবনমানকে উন্নত করতে পারে। বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দিচ্ছে। কারিগরি শিক্ষার অভাবে বিদেশ থেকে আমরা যে অর্থ উপার্জন করি তার তিনগুণ বেশি উপার্জন করে শ্রীলংকা। তারা এই জ্ঞানকে অর্জন করেছে। সেই লক্ষ্য নিয়ে জাগরণী ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে। গুরু শিষ্য যাই বলি না কেন আমাকে কাজ শিখতে হলে একজনের কাছে যেতে হবে। কেউ যদি নিরবিচ্ছিন্নভাবে ৬ মাস ট্রেনিং এর মধ্যে থাকে তাকে ২১ হাজার টাকা দিবে। আপনাদের উদ্দেশ্যেই বলি আপনারা যে কাজই করেন না কেন সেটাকে একবারে মনে প্রাণে, ধ্যানে, সব সময় মাথায় রাখবেন। আমি যে কাজটি শিখে নিব পরবর্তীতে কোন ওস্তাদ ছাড়াই সে কাজটি করে দিতে পারব এ মনোভাব রাখতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে মোঃ আজিজুল হক বলেন, ২০২৫ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার শতকরা ২১ দশমিক ২ ভাগ হয়েছে। যা ২০২২ সালে শতকরা ১৮ দশমিক ৭ ভাগ ছিল। এর কারণ হলো দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বা উচ্চ মূল্যবৃদ্ধি। এবং কোন দেশে কর্মসংস্থান কম হওয়া। আগামী ২০৫০ সালে এক কোটি ৩০লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় হল উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান বৃদ্ধি উন্মুখ করা। শোভন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। সমতাভিত্তিক রাজস্ব নীতির মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এগুলো করতে পারলে আগামী দিনে ভয়ংকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না। কোন দেশের উন্নয়নের চালিকা শক্তি হচ্ছে কর্মক্ষম জনশক্তি। এই কর্মক্ষম জনশক্তি হচ্ছে ১৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সী মানুষ। বর্তমানে বাংলাদেশে এর সংখ্যা দশ কোটি ৩০ লক্ষের অধিক। কাজেই বাংলাদেশের দুই তৃতীয় অংশ মানুষ কর্মক্ষম। প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ২২ লক্ষ শজনশক্তি আসছে। দুঃখের বিষয় এই জনশক্তি, নি¤œ মজুরি, নি¤œ কর্ম পরিবেশে তারা অনানুষ্ঠানের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হচ্ছে। যার ফলে আমরা আশানুরূপ উৎপাদন তাদের কাছ থেকে পাচ্ছি না। বাংলাদেশের ন্যায় উন্নয়নশীল দেশে উন্নয়ন করতে হলে তরুণ জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের সাথে যুক্ত করতে হবে। তরুণদের মধ্যে রয়েছে অফুরন্ত প্রাণশক্তি। সৃজনশীল কর্মক্ষমতা। ঝড়ের গতির ন্যায় গতিবেগ। জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন এই প্রত্যাশা থেকে তাদেরকে রেইস প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এই ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ৫২ টি জেলায় ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যারা ৬ মাস প্রশিক্ষণ নেবে, প্রশিক্ষণ পরে সহযোগিতা প্রদান করব, অর্থ তুলে কোন দ্বিধা থাকবে না। যে প্রশিক্ষণটি দেওয়া হচ্ছে সেটি একেবারে বাস্তব ভিত্তিক, ব্যবহার উপযোগী। প্রশিক্ষণ শেষে যার আর্থিক সহযোগিতা দরকার, ঋণ হিসেবে আমরা সেই অর্থ আপনাদের হাতে তুলে দেব।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button