রাসেল ভাইপারের আতঙ্কে সারাদেশ!
নতুন করে সবার মাঝে আতঙ্কের নাম হলো চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার। এটি একটি অনাকাক্সিক্ষত আতঙ্ক। যা মুহূর্তের মধ্যে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঢেলে দিতে পারে। পত্রপত্রিকা থেকে জানা যায় বাংলাদেশের ২৮ টি জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপটি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি লক্ষ করা যায় ধান ক্ষেতের মধ্যে। যার ফলে কৃষকরা তুলনা মূলকভাবে বেশি আতঙ্কে রয়েছেন। এতে কৃষি ক্ষেত্রেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া গ্রামে গ্রামে এমন ভয়ানক সাপ দেখা মেলাতে সারাদেশে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। গত এক-দুই মাসে রাসেলস ভাইপারের কামড়ে কমপক্ষে ১০ জন মানুষ মারা গেছেন। এর অধিকাংশই কৃষক এবং জেলে। এখন পর্যন্ত এ সাপের কামড়ে সবচেয়ে বেশি রাজশাহী এলাকার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই সাপটিকে নিয়ে এখন রীতিমতো ফেসবুকে বা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে তোলপাড় হচ্ছে যার কারণে সাধারণ মানুষদের মাঝে আরো বেশি আতঙ্ক বাড়ছে। এরইমধ্যে রাসেলস ভাইপারের আতঙ্ক দেশের গণমাধ্যমে ছড়িয়ে থাকার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এর প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই সাপের কামড়ে নূন্যতম ৭২ ঘণ্টার আগে সহজে রোগী মারা যায় না। কিন্তু আমাদের দেশের স্যেসাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সাপটি কাঁমড়ালে হতাশ না হয়ে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার মাধ্যমে সুস্থতা ফিরিয়ে আনা যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানান। তাদের মতে বাংলাদেশে রাসেলস ভাইপার সাপটি আরো অনেক বছর আগে থেকেই ছিল কিন্তু বিগত বছর গুলোতে গুরুতর ভাবে এমন মৃত্যুর ঘটনা না ঘটাই এটি এখন সবার কাছে নতুন আতঙ্ক মনে হচ্ছে। বর্তমানে চরাঞ্চলে কৃষি বেড়ে যাওয়ার ফলে এই বিষধর সাপটির উৎপত্তিও বেড়ে গেছে বলে মতামত বিষেজ্ঞদের। মূলত বন্যার পানিতে ভেসে এরা বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়েছে যায়। এছাড়াও রাজধানীতে রাসেলস ভাইপার সাপটি ঢুকে পড়ার বিষয়ে রাজধানী বাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু গবেষকদের তথ্য থেকে জানা যায়, ঢাকা মানিকগঞ্জের পাশে নদীর থাকার কারণে এই সাপটি আগেও ছিল। বর্তমানে দুই একটা সাপ সেখানে দেখা মেললে তা সারা রাজধানীর ভিতরের মানুষের মাঝে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। যারা এমন গুজব ছড়িয়ে মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করতেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এছাড়াও রাসেলস ভাইপারের দংশনের করণীয় উপায় গুলো প্রচারের মাধ্যমে সকলকে জানিয়ে দেওয়া অতি গুরুত্বপূর্ণ। গবেষকরা বলেছেন দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে অ্যান্টি ভেনম নেওয়া হলে রোগী ৯০ থেকে ১০০ ভাগ সুস্থ হয়ে যাবেন। সেই হিসেবে সাপের দংশনের সাথে সাথে যেন হাসপাতালে রোগীকে আনতে পারে সেদিকে লক্ষ রেখে হেল্প লাইনের ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। এছাড়াও সকলকে এই বিষধর সাপটির বিষয়ে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।