আম্বানিদের বিয়ে নিয়ে যা বললেন জয়
প্রবাহ বিনোদন: ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়েতে অংশ নিয়েছেন দেশ-বিদেশের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সেলিব্রেটিরা। নিমন্ত্রিত এসব অতিথির মধ্যে হাই প্রোফাইল অতিথিদের পদচারণায় মুখর ছিল আম্বানিদের অন্দর। তবে আম্বানি পরিবারের এই বিয়েকে শুধু বিয়ে নয় ব্যবসা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন দেশের অভিনেতা ও আলোচিত উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। বিগ বাজেটের জমকালো এ বিয়ের ফাইনাল আসর হওয়ার আগে থেকেই বিয়ের প্রাক-অনুষ্ঠান চলছে ৬ মাস ধরে। সেসব অনুষ্ঠানে দেখা গেছে, দেশ-বিদেশের প্রথম শ্রেণির ব্যবসায়ী ও তারকাদের। তবে এবার বিয়ের অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের প্রথম শ্রেণির ব্যবসায়ী ও তারকাদের পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন নামিদামি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। এই বিয়ে ঘিরে দেশের আলোচিত উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় তার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি এই বিয়েকে নানা যুক্তি দিয়ে বলেছেন এটি শুধু বিয়ে নয় বরং ব্যবসাও। ফেসবুকে জয় লিখেছেন, ‘আম্বানিদের পরিবারের বিয়ে আমার ধারণা এটি শুধু বিয়ে না। এটি একটি ব্যবসা। কারণ ব্যবসায়ীরা অকারণে পয়সা নষ্ট করে না। তাদের মনের খুশি পূরণের জন্য তারা ২০০ কোটি টাকা খরচ করবে। কিন্তু অন্যের প্রয়োজনে তারা দুই টাকা খরচ করবে না।’ তার ভাষায়, ‘গরিব এবং মধ্যবিত্তরা তাদের সন্তানের বিয়েতে সর্বস্ব দিয়ে মেহমানদারী করে। আন্তরিকতা দিয়ে করেন। সেখানে কোন ব্যবসা থাকে না। বর্তমান পৃথিবীতে যাদের কাছে পয়সা আছে তাদের পয়সার আরো বাড়বে। যাদের নেই তাদের কমবে। এবং একপর্যায়ে তাদের বিপর্যস্ত অবস্থা হবে। কোন বড় ব্যবসায়ী তার স্বার্থ ছাড়া এক পয়সাও হাতছাড়া করে না। কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত একটু পয়সা আছে আবার মনটা বিশাল এমন মহৎ কিছু চারপাশের চেনা জানা মানুষজন হরমেশায় পয়সা বিলিয়ে থাকেন। উপভোগ করে থাকেন জীবনকে পরিবারকে নিয়ে। মানুষের উপকার করে থাকেন। এমন মানুষজনকে স্যালুট।’ তিনি আরও বলেন, ‘বড়লোকরা পয়সা ইনকাম করে গরিবদের রক্ত চুষে। অমানবিকভাবে তাদের থেকে কাজ আদায় করে। তাদেরকে একবিন্দু ছাড় দেয় না। সব বড়লোকি একরকম। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে বড়লোকরা অধিকাংশই দুর্নীতবাজ। ব্যাংকের টাকায় ফুটানি মারে। ব্যাংক ওদের টাকা ঠিকমতো নিয়ে গেলে ওরা আমাদের চেয়ে খারাপ অবস্থায় চলে যাবে। দুর্নীতি নিয়ে জয় বললেন, ‘দুর্নীতিবাজদের কারণে সমাজে ইতোমধ্যে তৈরি বৈষম্য এখন দৃশ্যমান। আগে আমরা মন খারাপ করতাম। এখন বুঝি আশপাশে যারা টাকার ফুটানি মারে তারা আসলে আমাদের চেয়ে গরীব। ব্যাংকের টাকায় ঋণের টাকায় ঘুষের টাকায় দুর্নীতির টাকায় যারা বড়লোক তারা আপনার এবং আমার চেয়ে অনেক নিচে অবস্থান করছে। তাদেরকে এত পাত্তা দেয়ার কিছু নেই। চোখের দিকে চোখ রাঙানি দিয়ে কথা বলবেন দেখবেন তারা আপনাকে ভয় পাবে। এবং বেশি ভয় পেলে আপনার কাছে কানতে কানতে দুঃখের কথা শেয়ার করবে। আমি এমন ঘটনার সাক্ষী।’ প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার অনন্ত ও রাধিকার মহাবিবাহ অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে। গতকাল শনিবার শুভ আশীর্বাদ এবং আজ রোববার জমকালো বিবাহোত্তর সংবর্ধনা বা মঙ্গল উৎসব।