নেটিজেনদের আচরণে বিরক্ত পরীমনি
প্রবাহ বিনোদন: ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের মাদারীপুরের শিবচরের পাচ্চর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইসমাইল হোসেন জমাদ্দার নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। শিবচর হাইওয়ে থানার ওসি শাকিল আহমেদ দুর্ঘটনায় ইসমাইলের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন। দুর্ঘটনায় নিহত ইসমাইল চিত্রনায়িকা পরীমনির প্রথম স্বামী ছিলেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের মাঝে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। কারও মৃত্যু নিয়ে হাসি-তামাশার বিষয় নয় বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী পরীমনি। এর আগে ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে চিত্রনায়িকা পরীমনির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ইসমাইল হোসেন জমাদ্দারের। তিনি মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের ছোট শৌলা গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা জাকির হোসেন জমাদ্দারের ছেলে ছিলেন। পরে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের ওপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পরীমনি বলেন, ‘কারও মৃত্যু তো হাসি-তামাশার বিষয় নয়। ইসমাইলের মৃত্যু নিয়ে যে যেভাবে পারছেন, খবর প্রকাশ করেছেন। উৎসব উৎসব ভাব মনে হচ্ছে। এটা সত্যিই কষ্টদায়ক। এমনটা মোটেও আশা করিনি। এ অভিনেত্রী বলেন, এবার বাড়িতে আসার পরই আমার মা (খালাকে মা বলে ডাকেন পরীমনি) বললেন, ও (ইসমাইল) তো বাইক অ্যাক্সিডেন্ট করছে। আমি বললাম— ‘কী!’ পরে বললেন, ‘ও তো মারা গেছে!’ এলাম নানুভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে, এসে শুনি ইসমাইলের মৃত্যুর খবর, এটি মেনে নেওয়া যে কতটা কষ্টের, বলে বোঝাতে পারব না বলেও জানান পরীমনি। মৃত মানুষের মুখ দেখতে না পারা উল্লেখ করে এ অভিনেত্রী বলেন, এ জীবনে একমাত্র নানুভাইয়ের মরা মুখটাই শুধু দেখতে পেরেছি। আর কারোটা দেখা সম্ভব হয়নি। ইসমাইলেরও দেখা সম্ভব হয়নি। কবর জিয়ারত করেছি। সেই কবরস্থানে পাশাপাশি আমাদের পরিবারেরই অনেকগুলো কবর। সবচেয়ে নতুন কবর ইসমাইলের। ওর বাবাসহ আমরা কবর জিয়ারতে গেছি। সবকিছু ছাপিয়ে সে তো আমার আত্মীয়। তাই তার সঙ্গে আমার সম্পর্কও তো সব সময়ের বলে জানান পরীমনি। এদিকে ইসমাইলের চাচা কবির হোসেন বলেন, ‘ইসমাইল তার বন্ধু মনিরকে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। ভোরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে পেছন থেকে ট্রাক তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ইসমাইল ও তার বন্ধু মনির গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নিলে চিকিৎসক ইসমাইলকে মৃত ঘোষণা করেন। আর মনিরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পঙ্গু হাসপাতালে মনিরের একটি পা কেটে ফেলা হয়েছে।’ তিনি বলেন, গত ‘শুক্রবার রাতে ইসমাইলের লাশ বাড়িতে আনা হয় এবং রাতেই জানাজা শেষে ছোট শৌলা গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।’ ইসমাইল হোসেনের মৃত্যুর খবরটি গত শনিবার দেশের সব গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ পরীমনি।