আন্তর্জাতিক

সিরিয়ার সুইদা শহরে বেদুইন-দ্রুজ সংঘর্ষে নিহত ৩৭

প্রবাহ ডেস্ক : সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের সুইদা শহরে বেদুইন উপজাতি ও স্থানীয় দ্রুজ যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার এক পর্যবেক্ষণ সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী পাঠিয়েছে। দামেস্ক থেকে এএফপি এ খবর জানায়। গত এপ্রিল ও মে মাসেও দ্রুজ সম্প্রদায় ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে প্রাণঘাতি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সংঘর্ষে নিহত ৩৭ জনের মধ্যে ২৭ জনই দ্রুজ সম্প্রদায়ের। বাকি ১০ জন বেদুইন সম্প্রদায়ের। নিহতদের মধ্যে দুটি শিশুও রয়েছে। এর আগে রোববার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সুইদা ২৪ এক প্রতিবেদনে জানায়, সহিংসতার কারণে দামেস্ক-সুইদা মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। সিরিয়ার একটি সরকারি সূত্র এএফপিকে জানায়, উত্তেজনা প্রশমনে সুইদা ও পার্শ্ববর্তী দারাআ প্রদেশের প্রশাসনিক সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে। সুইদার গভর্নর মুস্তাফা আল-বাকুর তার অঞ্চলের জনগণকে আত্মসংযম প্রদর্শন করতে এবং জাতীয় সংস্কারের ডাকের প্রতি সাড়া দেয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া, বেশ কয়েকজন দ্রুজ ধর্মীয় নেতাও পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সঙ্গে দ্রুত হস্তক্ষেপের জন্য দামেস্কের প্রতিও অনুরোধ জানান। সিরিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী সুইদা ও দারাআ প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। সহিংসতার কারণে গতকাল সোমবার অনুষ্ঠেয় স্থানীয় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে। গৃহযুদ্ধ শুরুর আগে সিরিয়ায় বসবাসকারী দ্রুজ সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৭ লাখ। এর মধ্যে সুইদা প্রদেশেই সবচেয়ে বড় দ্রুজ জনগোষ্ঠী বাস করে। বেদুইন ও দ্রুজ সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছে এলাকাটিতে। প্রায়ই ছোটখাটো সংঘর্ষ লেগেই থাকে। বাশার আল আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির পর নতুন সরকারের অধীনে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও হিমশিম খাচ্ছে তারা। এপ্রিল ও মে মাসে নতুন নিরাপত্তা বাহিনী ও দ্রুজ যোদ্ধাদের সংঘর্ষে বহু মানুষ নিহত হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং দ্রুজ যোদ্ধাদের নতুন সরকারের অধীনে আনতে রাখতে স্থানীয় ও ধর্মীয় নেতারা একাধিক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button