স্থানীয় সংবাদ

মোংলা-ঘোষিয়াখালী নৌ চ্যানেল ভাঙ্গন ২ কি.মি.

ভাঙ্গন এলাকায় মাত্র ২ শত মিটারে জিও ব্যাগ দিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা

বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ বাগেরহাটের মোংলা- ঘোষিয়াখালী নৌ-চ্যানেলের রামপাল উপজেলার সরকারি কলেজ থেকে স্থানীয় বগুড়া নদীর মোহনা পর্যন্ত ২ কি.মি. নদী ভাঙ্গন এলাকায় মাত্র ২ শত মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। মাত্র ৫/৬ শত ফুট এলাকা বাদে বাকী বেশীরভাগ এলাকায় ভাঙ্গনের তীব্রতা অব্যাহত রয়েছে। এতে ভাঙ্গন কবলিত নদী পাড়ের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্র্ডের দায় সারাগোছের জিও ব্যাগ ফেলা নিয়ে নানা সমালোচনা করছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী বাগেরহাট জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। প্রসঙ্গতঃ মোংলা -ঘষিয়াখালী নৌ-চ্যানেলের ভাঙ্গন কবলিত বিষয় নিয়ে বিগত সময়ে বিভিন্ন পত্রিকায় তথ্যবহুল খবর প্রকাশ পেয়েছে। সোমবার (১৩ নভে¤॥^র) বিকালে নদী ভাঙ্গন কবলিত উপজেলার রামপাল সদর ও ওড়াবুনিয়া এলাকায় সরেজমিনে গেলে ভাঙ্গনের তীব্রতা দৃশ্যমান হয়। এ সময় স্থানীয় নুরুল্লাহ খোকন নামের এক বাসিন্দা নিজের ভেঙ্গে যাওয়া বাড়ীর বিল্ডিংয়ের ইট ও ওয়াল দিয়ে নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন মোংলা ঘোষিয়াখালী চ্যানেল খননের পর থেকেই রামপাল সরকারি কলেজের সামনে থেকে বগুড়া নদীর মোহনা পর্যন্ত ভাঙ্গন শুরু হয়। এতে করে এলাকার মানুষের বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। প্রায় অর্ধশত বাড়ির পরিবার উদ্বাস্তু হয়ে গেছে। অনেকের সামান্য ভিটে বাড়ীর শেষ সম্বল টুকুও হারিয়ে নিঃশেষ হয়ে গেছে। এমন নিঃস্ব হয়ে পড়াদের মধ্যে কবির কসাই, জহুর শেখ, ইলিয়াস শেখ, বাকিবিল্লাহসহ আরও অনেকে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারি বা বেসরকারীভাবে এরা কোন সাহায্য পাননি বলে এ প্রতিবেদক কে জানান। কথা হয় মোংলা ঘোষিয়াখালী নৌ- চ্যানেল রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র বাগেরহাট জেলা সদস্য এম এ সবুর রানা’র সাথে। তিনি জানান, প্রথমতঃ অপরিকল্পিত নদী খননের ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। এতে আরও বেশি করে নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা প্রথম থেকেই ডিপিপি’র গবেষণা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়নি। নদী ভাঙ্গনের বিষয়ে বাগেরহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। উপজেলার মোংলা ঘোষিয়াখালী চ্যানেল, দাউদ খালি নদী, বগুড়া নদীসহ সকল নদীর ভাঙ্গন এলাকার চিত্র তুলে ধরেছি। তিনি আশ্বাস প্রদানের পরে মাত্র ৫ শত ফুট এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। নদী ভাঙ্গন কবলিতদের দূর্গতি রয়েই গেছে। এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত নজর না দিলে এই শীত মৌসুমে ভাঙ্গনের তীব্রতা আরও বাড়বে। এলাকার দূর্গতরা দ্রুত ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ বা ব্লক ফেলার দাবী জানান। বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী মোঃ মাসুম বিল্লাহ মঙ্গলবার সকালে মুঠোফোনে এ প্রতিবেদক কে বলেন, শুধু ওই এলাকা নয় রামপাল উপজেলার মল্লিকের বেড় এলাকাসহ ভাঙ্গন কবলিত সকল স্থানে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলমান রয়েছে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button