
বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে এই সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ কারনে বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি ১৫টি বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এবং জারি করা হয়েছে মোংলা বন্দরের নিজস্ব রেড অ্যালার্ট- ৩। শুক্রবার দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে মোংলা থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। প্রসঙ্গতঃ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাত থেকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে মোংলাসহ গোটা বাগেরহাট জেলায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া ক্রমান্বয়ে খারাপ হতে থাকায় বন্দরে অবস্থানরত সকল বিদেশি জাহাজের শ্রমিক-কর্মচারীদের নামিয়ে আনা হয়। এরপর রাত থেকে কাজ বন্ধ থাকে। বন্দরে অবস্থানরত ১৫টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামা ও পরিবহণের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী হারবার মাস্টার (অপারেশন) আমিনুর রহমান জানান, আবহাওয়া অফিস ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করার পর বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে পণ্য নিয়ে অবস্থান করা সকল প্রকার লাইটার জাহাজকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, পণ্য খালাস শেষে বন্দর ত্যাগ করার কথা থাকলেও ঝড়ের কারণে যেতে পারেনি ভারতের পতাকাবাহী ‘এমভি জাগ রানী’ ও বাংলাদেশের পতাকাবাহী ‘এমভি জাহান ব্রাদার্স’ নামে দুটি জাহাজ। এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপংকর দাশ বলেন, ঝুঁকিতে থাকা পশুর নদীর পাড়ের জয়মনির ঘোল, চিলা, কানাইনগর এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রের যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এখানে ১০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র, ১ হাজার ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক ও ৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুতসহ পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও ওষুধ মজুদ করা হয়েছে।