স্থানীয় সংবাদ

আজ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস

শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মানোন্নয়নে আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিং: প্রথমাবরের মত কিউএস র‌্যাংকিং-এ ১৪০১-১৫০০, টাইমস্ হায়ার এডুকেশন র‌্যাংকিংয়ে ১২০১-১৫০০, কিউএস র‌্যাংকিংয়ে এশিয়ায় ৫৫১-৬০০ তম স্থানে অবস্থান করে নিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।

মেহেদী মাসুদ খান ঃ আজ ২৫ নভেম্বর শনিবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষাকার্যক্রমের তেত্রিশ বছর পূর্ণ করে চৌত্রিশ বছরে পদার্পন করছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আপামর মানুষের নিরলস প্রচেষ্টা ও ত্যাগ। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। ১৯৮৯ সালের ৯ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৯০ সালের জুলাই মাসে জাতীয় সংসদে ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯০’ পাস হয়, যা গেজেট আকারে প্রকাশ হয় ওই বছর ৩১ জুলাই। এরপর ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে ৪টি ডিসিপ্লিনে ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। ১৯৯১ সালের ৩০ আগস্ট প্রথম ওরিয়েন্টেশন এবং ৩১ আগস্ট ক্লাস শুরুর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমের সূচনা হয়। একই বছরের ২৫ নভেম্বর শিক্ষাকার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। প্রতিবছর এ দিনটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য এবছর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে কালজয়ী মুজিব ও শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল ১০টা৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, পরে মুক্তমঞ্চে বিভাগ/ডিসিপ্লিনসমূহের গত বছরের অর্জন ও আগামী বছরের পরিকল্পনা উপস্থাপনার ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন, সন্ধ্যা ৬টায় গত বছরের কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থী ও সংগঠনমূহকে সম্মাননা প্রদান, সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মন্দিরে প্রার্থনা। এছাড়া ক্যাম্পাসের মেইন গেট, রাস্তা, শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরি ভবন, একাডেমিক ভবন ও হলসমূহ আলোকসজ্জা করা। উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেছেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে এতদঞ্চলের মানুষের অপরিসীম অবদান ও ত্যাগ অনস্বীকার্য। আমরা সবসময়ই সে বিষয়টি ধারণ করি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশের সংস্কৃতি-ঐতিহ্য ধারণ করেই এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অভিলক্ষ্য পূরণে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে গড়ে তুলতে ডিজিটালাইজেশনের পথে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে আস্থার জায়গা সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। এটা ধারণ করেই এ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমান অর্জনের পথে এগিয়ে যাবে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রায় সকল শাখার মেলবন্ধনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গরূপ পরিগ্রহের পথে। এ বিশ্ববিদ্যালয় শীঘ্রই শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিশ্ব পরিম-লে আলো ছড়াবে ; সে প্রত্যাশার সাথে আজ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২৩ এর এই শুভক্ষণে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাকিংয়ে কতদূর এগিয়েছে তা অনেকেরই অজানা। আজ পাঠকের জন্য থাকছে এর কার্যক্রম ও অগ্রগতির প্রতিবেদন ঃ
একাডেমিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি ঃ শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মানোন্নয়নে আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিং: প্রথমাবরের মত কিউএস র‌্যাংকিং-এ ১৪০১-১৫০০, টাইমস্ হায়ার এডুকেশন র‌্যাংকিংয়ে ১২০১-১৫০০, কিউএস র‌্যাংকিংয়ে এশিয়ায় ৫৫১-৬০০ তম স্থানে অবস্থান করে নিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। ইউজিসির এপিএ মূল্যায়নে ৯৫.৪৭ নম্বর পেয়ে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অর্ধন ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব-স্মার্ট ইউনিবেটর স্থাপনের কাজ শুরু। সম্প্রতি এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য রাজস্ব বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ ১৬০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা পেয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। পক্ষান্তরে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেট ছিল ১১০ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অগ্রণী অবস্থানে থেকে আউটকাম বেইজড এডুকেশন (ওবিই) কারিকুলা প্রণয়ন ও তা অনুসরণ করে পাঠদান শুরু করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য অভিন্ন একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও অনুসরন করা হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল হাই ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর জার্নালে গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশনায় রেজিস্ট্রেশন ফিস প্রদান করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। ছ১ জার্নাল পাবলিকেশনের জন্য ইনসেনটিভ প্রদান ও নীতিমাল প্রণয়ন চালু হয়েছে। ডি-নথির (ডিজিটাল নথি) যুগে প্রবেশ ঃ ডি-নথির মাধ্যমে ৭৫% নথি নিষ্পন্ন হচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নয়নের ক্ষেত্রে যুগোপযোগী একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। অনলাইনে চলে রেজিস্ট্রেশন-ভর্তি কার্যক্রম। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে গ্রিন ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলতে ৬৪ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট বাস্তবায়ন করা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানোন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওছঅঈ কর্তৃক বর্তমান সময়ে ৯৪ দিনব্যাপী ৫৭টি প্রশক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।
গবেষণা ক্ষেত্রে অগ্রগতি ঃ জবংবধৎপয ঝঃৎধঃবমরপ চষধহ প্রণয়ন করা হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব রিসার্চ এনডাউমেন্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে মোট ১২টি আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলন হয়েছে যার মধ্যে ছয় মাসে হয়েছে ৫টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গঙট হয়েছে ৩৪টি। এছাড়াও টঝঅওউ, ঊঁৎড়ঢ়বধহ টহরড়হ, বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে গঙট করার প্রক্রিয়া চলমান। ২০২২ সালে ১,২৬৬ টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ এবং ১১০টির বেশি গবেষণা প্রকল্প সম্পন্ন, ২০২৩ সালে এ পর্যন্ত ৭৯৬টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়েছে। একই বছরে পিএইচডি প্রোগ্রামে রেকর্ডসংখ্যক ৮৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন-প্রবীন গবেষকদের গবেষণায় আগ্রহী করে তুলতে গবেষনা অনুদান বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের গবেষণা বরাদ্দ ৩৫ লাখ থেকে বর্তমানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫.৫ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৪-২০০৫ সালে গবেষণায় বরাদ্দ ছিল মাত্র ১৫ হাজার টাকা। কট ঝঞটউওঊঝ ইতোমধ্যে এড়ড়মষব ঝপযড়ষধৎ, ঈৎড়ংংৎবভ, ঝপরবহপব খরঃবৎধঃঁৎব, ওহফবী ঈড়ঢ়বৎহরপঁং-সহ আরও কিছু রহফবী উধঃধনধংব-এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং ঝপড়ঢ়ঁং সহ আরও উধঃধনধংব-এ অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। কেন্দ্রীয় গবেষণাগার এবং প্রত্যেক ডিসিপ্লিনের গবেষণাগারে আন্তর্জাতিক মানের যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে।
ডিজিটালাইজেশন ঃ আইসিটি সেলের মাধ্যমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটালাইজেশন করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অটোমেশনের কাজ শেষ, ২৬ নভেম্বর উদ্বোধন করা হবে। সকল শিক্ষার্থীকে ইন্সটিটিউশনাল ই-মেইল প্রদান করা হয়েছে। আজ ২৫ নভেম্বর থেকে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে এই কার্ডের মাধ্যমে লাইব্রেরী আক্সেস ও মেডিকেল সেবা দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে এটি ই-ওয়ালেট হিসেবে ব্যবহার হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি ডিসিপ্লিনে ইতোমধ্যে স্মার্ট ক্লাসরুম ও ল্যাবরেটরি এবং আধুনিক সুবিধা সংবলিত প্রশিক্ষণ কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গেস্ট হাউজের মোবাইল অ্যাপস্ নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই জোন। ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বেশ কিছু অবকাঠামোর নির্মাণকাজে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার সময় নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ছির ১৬% যা বর্তামনে ৬২%। এর মধ্যে রয়েছে- ১০ তলা জয়বাংলা একাডেমিক ভবন, ৫ তলা আইইআর ভবন, মেডিকেল সেন্টার নির্মাণ ও আধুনিকায়ন কেন্দ্রীয় গবেষণাগার, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পার্শ্ব ও ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, টিএসসি ভবন, জিমনেশিয়াম কমপ্লেক্স, আবাসিক ভবন, দৃষ্টিনন্দন মেইনগেট, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ, নিজস্ব বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন (১১৫ কড), নতুন ২টি বাস, ১টি মাইক্রোকাস ও একটি অত্যাধুনিক এ্যাম্বুলেন্স ক্রয়, ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য্যবর্ধন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে হানাদার বাহিনীর টর্চারসেল হিসেবে ব্যবহৃত টিনশেড ঘরটিকে ‘গল্লামারী বধ্যভূমি স্মৃতি জাদুঘর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে সংরক্ষণে মেরামত ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়নে কাজ চলমান, দৃষ্টিনন্দন ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণ, ফুডকোর্ট নির্মাণ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকতর আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে নতুন হল তৈরির উচচ প্রস্তুতকরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক, একাডেমিকসহ সামগ্রিক কর্মকা-ের গতি ত্বরান্বিত করতে সফট ইনফ্রাস্ট্রাকচার এর আওতায় হাইস্পিড ইন্টারনেট ব্যাকবোন, সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স সিস্টেম স্থাপন এবং স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরি করার উদ্যোগ। ৪৯ কোটি টাকার উচচ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বিবেচনায় আছে। প্রত্যেক স্কুলকে প্রত্যেক বছর কমপক্ষে একটি জাতীয়/আন্তর্জাতিক সম্মেলন এবং প্রত্যেক বছর প্রত্যেক ডিসিপ্লিনে কমপক্ষে একটি সেমিনার/কর্মশালা আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুলের জন্য একটি গ্রিনহাউস স্থাপন। উচচ প্রণয়নের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে টএঈ- এর প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। জীব বিজ্ঞান ভিত্তিক ৭টি বিভাগসমূহের জন্য মাঠ গবেষণাগারে প্রয়োজনীয় জমিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী এক, বছরের চাহদিা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার নিরিখে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ২০৩ একর জমি অধিগ্রহণ। কেন্দ্রীয় গবেষণাগারকে আন্তর্জাতিক মানসম্মত করার লক্ষ্যে ওঝঙ ঈবৎঃভরপধঃরড়হ করার উদ্যোগ গ্রহণ। ছাত্র-ছাত্রীদের খেলার মাঠের উন্নয়ন। ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হলসমূহের আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব তৈরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কাজে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার। আরও ৩০০ কড সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুতের মোট চাহিদার ৪০% পূরণ। বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবাসনের সুবিধার্থে একটি ইন্টারন্যাশনাল হল/ডরমেটরি তৈরি। জবংবধৎপয ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঈবহঃবৎ-ওঈঞ উবংশ তৈরি। ওঈঞ সরহরংঃৎু কর্তৃক ঈড়সঢ়ঁঃরহম খধন নির্মাণ। বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল (ইঅঈ) এর ৬৩টি স্ট্যান্ডর্ড এর মধ্যে ইতোমধ্যে ৪৫টি স্ট্যান্ডার্ড অর্জন করা হয়েছে। সকল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী পরিচালনা করার প্রক্রিয়া চলমান। ওহংঃরঃঁঃব ভড়ৎ ওহঃবমৎধঃবফ ঝঃঁফরবং ড়হ ঃযব ঝঁহফধৎনধহং ্ ঈড়ধংঃধষ ঊপড়ংুংঃবসং (ওওঝঝঈঊ)-কে সুন্দরবনের উপর বিশ্বমানের রিসার্স করার জন্য একটি যুগোপযোগী সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা। খুবির আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে পর্যায়ক্রমে পুরোপুরি অটোমেশন নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ ও একাডেমিক মাস্টার প্লান প্রণয়ন করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button