স্থানীয় সংবাদ

বাজারে মাছের দাম চড়া : সবজি কিছুটা কমলেও মাংসের দাম স্থিতিশীল

শেখ ফেরদৌস রহমান : হরতাল অবরোধের মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে শীতকালিন সবজির বাজার। এছাড়াও কমেছে সব ধরনের মাংসের দাম। তবে মাছের বাজার চড়া মাংসের থেকে মাছের দাম বেশি।গেল মাসখানেক আগেও ছিল সবজির বাজার ছিল চড়া। নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষের ছিল যা একপ্রকার অসহনীয়। তবে গেল ১৫ দিনে বাবধানে কমছে সবজির দাম । মূলতঃ হরেক রকমের শীতের সবজি আসায় দাম কমেছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া গেল সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে আলু, পেয়াজ, মাংসের দামও। মাসখানেক আগে বাজারে যেখানে ৭০ থেকে ১০০ টাকায় বেশির ভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছিল। এখন দামে স্বস্তি ফেরায় স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। পাশাপাশি গরুরর মাংসের দাম কমেছে কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া লেয়ার, সোনালী, কক ও ব্রয়লার মুরগী দাম কমেছে কেজিতে ৫০ টাকা পযন্ত। চিংড়ি মাছ প্রকার ভেদে ৬০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দর, ইলিশ মাছ ছোট আকারের ৫০০ টাকা ৫০০ গ্রামের ওজনের মাছ ৭০০ টাকা, আর কেজির মাছ ১২ থেকে ১৫শ টাকা পর্যন্ত। পাশাপাশি টেংড়া ৬৫০ টাকা, মোট পরিবর্তন হয়নি মাছের বাজার। গতকাল খুলনা নগরীর বিভিন্ন বাজারে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এদিকে ক্রেতারা বলছেন, শীতের সময় সবজির দাম কম থাকে। শীত আসতে শুরু করায় বাজারে স্বস্তি ফিরেছে। দাম কমছে সব ধরনের সবজির বাজার। গেল সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এমনকি আগের তুলনায় ক্রেতাও কমেছে। সেজন্য সবকিছুর দাম ক্রেতাদের নাগালেই মধ্যেই রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায় নগরীর চিত্রালি কাঁচা বাজারে প্রতি কেজি পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪৫ টাকা, শিম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং বরবটি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ফুলকপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বাধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও লাউ ৩০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুলা শাক এবং পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা এবং লাউ শাক ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কমেনি টমেটোর দাম আগের মত আছে। এ বিষয়ে ক্রেতা মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, শীতের সময়ে এমনিতে সবজির দাম কম থাকে। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দাম কম। তবে আমরা এমন দামে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। বর্তমান যেমন কমে সবজি পাওয়া যাচ্ছে এমন কম দাম যেন ধারাবাহিকভাবে থাকে। সবজি বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত রয়েছে সবজির আমদানি। পাশাপাশি ক্রেতাও অনেক কম। যে কারণে সবজির দাম কম। হরতাল অবরোধের জন্য কোন সমস্যা হচ্ছে না বলে ক্রেতারা কম দামে সবজি পাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button