স্থানীয় সংবাদ

খুলনা বিভাগে পাঁচ বছরে ভোটার বেড়েছে ১৫ লাখ

হিজড়া কমিউনিটির ভোটার মাত্র ৮৫ জন

স্টাফ রিপোর্টারঃ আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনা বিভাগের ৩৬টি আসনে ভোটার ১ কোটি ৩৪ লাখ ৪৬ হাজার ৫৮৭ জন। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে এই বিভাগে ভোটার ছিল ১ কোটি ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ১৮৭ জন। গত ৫ বছরে ভোটার বেড়েছে ১৪ লাখ ৮৭ হাজার ৪০০ জন। হিজড়া কমিউনিটির ভোটার আছেন ৮৫ জন। আর বিভাগের ১০টি জেলার মধ্যে শুধু মেহেরপুরে পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটার বেশি। খুলনা বিভাগীয় (আঞ্চলিক) নির্বাচন অফিসার মো. হুমায়ুন কবির এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৬টি আসনে ৪ হাজার ৯৮৪টি ভোট কেন্দ্রে ৩০ হাজার ২৪৫টি ভোট কক্ষ থাকবে। অস্থায়ী ভোট কক্ষ থাকবে ১ হাজার ১৫৭টি। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র ছিল ৪ হাজার ৮৩৫টি ও ভোট কক্ষ ছিল ২৪ হাজার ৫২২টি। অস্থায়ী ভোট কক্ষ ছিল ১ হাজার ১১৬টি। এবার ১৪৯টি ভোট কেন্দ্র ও ৫ হাজার ৭২৩টি ভোট কক্ষ এবং ৪১ অস্থায়ী ভোট কক্ষ বেড়েছে। আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনা জেলার ছয়টি আসনে এবার ভোটার রয়েছেন ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১০ লাখ ৮৪ জন, নারী ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৮৪ জন ও হিজড়া ১৪ জন। ছয়টি আসনে ৭৯৩টি ভোট কেন্দ্র এবং ৪ হাজার ৭২০টি ভোটকক্ষ থাকবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ১৮ লাখ ১ হাজার ২ জন। এবার ভোটার বেড়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮৮০ জন। সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে এবার ভোটার ১৭ লাখ ৪৬ হাজার ২২৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯৮৪ জন, নারী ৮ লাখ ৬৯ হাজার ২২৮ জন ও হিজড়া ১২ জন। ৪টি আসনে ৬০২টি ভোট কেন্দ্র এবং ৩ হাজার ৭১৮টি ভোট কক্ষ থাকবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ১৫ লাখ ৬০ হাজার ৪২৩ জন। এবার ভোটার বেড়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৮০১ জন। বাগেরহাটের চারটি আসনে এবার ভোটার রয়েছেন ১২ লাখ ৮১ হাজার ২৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬ লাখ ৪৪ হাজার ১৩৬ জন, নারী ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৯৭ জন ও হিজড়া আট জন। চারটি আসনে ৪৮৮টি ভোট কেন্দ্র এবং ২ হাজার ৭৯৬টি ভোট কক্ষ থাকবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ১১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৬ জন। এবার ভোটার বেড়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৯৫ জন।যশোরের ছয়টি আসনে এবার ভোটার রয়েছেন ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১১ লাখ ৭৬ হাজার ১০১ জন, নারী ১১ লাখ ৬২ হাজার ৯৩১ জন ও হিজড়া ১৩ জন। ছয়টি আসনে ৮২৫টি ভোট কেন্দ্র এবং ৫ হাজার ২১৭টি ভোট কক্ষ থাকবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ২০ লাখ ৯২ হাজার ৪৫৬ জন। এবার ভোটার বেড়েছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৫৮৯ জন। ঝিনাইদহে চারটি আসনে এবার ভোটার রয়েছেন ১৫ লাখ ১ হাজার ১৮৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৫১৯ জন, নারী ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৬৫৮ জন ও হিজড়া ১২ জন। ৪টি আসনে ৫৮৫টি ভোট কেন্দ্র এবং ৩ হাজার ৪২১টি ভোট কক্ষ থাকবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ১৩ লাখ ৪২ হাজার ৩৩০ জন। এবার ভোটার বেড়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৫৯ জন। নড়াইলের দুটি আসনে এবার ভোটার রয়েছেন ৬ লাখ ৪১ হাজার ১৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩ লাখ ২১ হাজার জন, নারী ৩ লাখ ২০ হাজার ১২৯ জন ও হিজড়া তিন জন। দুটি আসনে ২৫৭টি ভোট কেন্দ্র এবং ১ হাজার ৪৩৩টি ভোট কক্ষ থাকবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ৫ লাখ ৫৬ হাজার ১৮ জন। এবার ভোটার বেড়েছে ৮৫ হাজার ১১৪ জন। মাগুরার দুটি আসনে এবার ভোটার রয়েছেন ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯১৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩ লাখ ৯৮ হাজার ২০৪ জন, নারী ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭১০ জন ও হিজড়া পাঁচ জন। দুটি আসনে ২৯৫টি ভোট কেন্দ্র এবং ১ হাজার ৫৯৭টি ভোট কক্ষ থাকবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৫৯ জন। এবার ভোটার বেড়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৮৬০ জন। চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে এবার ভোটার রয়েছেন ৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭৮৯ জন, নারী ৪ লাখ ৭৪ হাজার ২৮১ জন ও হিজড়া আট জন। দুটি আসনে ৩৫৪টি ভোট কেন্দ্র এবং ২ হাজার ২২২টি ভোট কক্ষ থাকবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৭২ জন। এবার ভোটার বেড়েছে ৯৭ হাজার ২০৬ জন। কুষ্টিয়ার চারটি আসনে এবার ভোটার রয়েছেন ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ লাখ ২২ হাজার ৫১৬ জন, নারী ৮ লাখ ২১ হাজার ৩৮৮ জন ও হিজড়া আট জন। চারটি আসনে ৫৭৮টি ভোট কেন্দ্র এবং ৩ হাজার ৮২৩টি ভোট কক্ষ থাকবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ১৪ লাখ ৫৯ হাজার ৮৮৮ জন। এবার ভোটার বেড়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ২৪ জন। মেহেরপুরের দুটি আসনে এবার ভোটার রয়েছেন ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৯ জন, নারী ২ লাখ ৭৮ হাজার ৯১৫ জন ও হিজড়া দুজন। দুটি আসনে ২০৭টি ভোট কেন্দ্র এবং ১ হাজার ২৯৮টি ভোট কক্ষ থাকবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৮৯৩ জন। এবার ভোটার বেড়েছে ৬০ হাজার ৭৩ জন। এদিকে এবারই প্রথম পুরুষ ও নারী ভোটারের পাশাপাশি হিজড়া ভোটারও শনাক্ত করা হয়েছে। তবে কমিউনিটির অনেকেই ভোটার তালিকায় যুক্ত হতে পারেননি বলে জানিয়েছেন হিজড়ারা। খুলনার হিজড়া পাখী দত্ত বলেন, ‘খুলনায় ট্রান্সজেন্ডার রয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩শ। এর মধ্যে হিজড়া কমিউনিটির সদস্য রয়েছেন ১১৩ জন। কিন্তু হিজড়া ভোটার ১৪ জন। কারণ অনেকে ফরম পূরণ করার সময় হিজড়া উল্লেখ করেননি। আবার এনআইডি কার্ড না পাওয়ায় অনেকেই ভোটার হতে পারেননি। অনেকে জায়গা বদল করেছেন।’

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button