স্থানীয় সংবাদ

শীতের প্রকোপে ঠান্ডাজানিত রোগের প্রবণতা বাড়ছে

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ শীতের প্রকোপ শুরুতে সাথে সাথে খুলনায় প্রায় ঘওে ঘরে ঠা-াজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীরা কেউবা বাসা-বাড়ীতে টোটকা চিকিৎসা নিচ্ছে। আবার গুরুতর অসুস্থ রোগী ও শিশুরা ভিড় জমাচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও চিকিৎসকদের চেম্বারে। শীতের শুরুতেই সব বয়সী মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ঠা-াজনিত সর্দি, কাশি ও জ্বরে। তবে শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে এ রোগের প্রভাব বেশি দেখা দিয়েছে। কোনো কোনো শিশু আবার আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়ায়। মৌসুমি এসব রোগ শিশু আর বৃদ্ধদের বেশি হলেও এতে আক্রান্ত রোগী ও অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবেশ দূষণ, রাস্তায় ধুলোবালিসহ বাতাসে বিভিন্ন ধরণের ভাইরাসের কারণেই বেড়েছে শ্বাসকষ্টজনিত রোগের প্রকোপ। তবে সামান্য চিকিৎসায় এসব রোগ সেরে যায় বলেই জানিয়েছেন তারা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শীতের শুরুতেই সব বয়সী মানুষ আক্রান্ত হয় ঠান্ডাজনিত সর্দি, কাশি ও জ্বরে। শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে এ রোগের প্রবণতা দেখা দেয় বেশি, যে কারণে ঝুঁকিও রয়েছে তাদের। সরেজমিনে দেখা যায়, খুলনা শিশু হাসপাতাল সহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও আন্তঃ বিভাগে বর্তমানে জ্বর, হাঁপানি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় শতাধিক রোগী চিকিৎসারত রয়েছেন। কর্তব্যরত নার্সরা জানান, শীতের শুরু থেকে প্রতিদিন নিউমোনিয়া, জ্বর, হাপানিসহ বিভিন্ন ঠা-াজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩০-৪০ জন করে শুধু শিশু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন খুলনা শিশু হাসপাতালে । এ বিষয়ে একজন ভুক্তভোগী রোগী বলেন মুসফিক মেহেদী বলেন, হঠাৎ মোটরসাইকেল চালাতে যেয়ে আমার ঠান্ডা লাগে। পরদিন সকালে নাক বন্ধ, মাথাভারী হওয়া সাথে জ¦র, বুকে কফসহ কাসিতে এখন আমি গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে বাসায় চিকিৎসাধিন আছি। এ বিষয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুহাস রঞ্জণ হালদার বলেন, শীতের কারণে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। ঠা-ার কারণে অ্যালার্জির প্রকোপ বাড়ে। তার মধ্যে শ্বাস-প্রশ^াস ও চামড়ার রোগও বেড়ে যায়। বিশেষ করে শিশু বাচ্চাদের, বৃদ্ধদের, গর্ভবতি মায়েরা বেশি আক্রান্ত হয় । প্রতিদিন হাসপাতালে যে রোগীরা আসছেন চিকিৎসা নিতে তার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ রোগী আসছেন ঠান্ডাজানিত রোগে আক্রান্ত হয়ে। তবে শিশুদের বেলায় ৩টি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যদি কোনো শিশুর সর্দি-জ্বরের সঙ্গে কাশি, বুকে ঘ্যাড় ঘ্যাড় শব্দ হয় আর যদি শিশুর শ্বাস নিতে কষ্ট হয় তবে অবশ্যই ওই শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। আর এখন শিশু রোগীর সাথে বয়স্কদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button