খুলনায় মোড়ে মোড়ে সাদা-কালো পোস্টার আর ভোটারদের কাছে ছুটছেন প্রার্থীরা

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী সমর্থকরা ছুটছেন ভোটারের দোরগোড়ায়। এদিকে পাড়া, মহল্লা, অলি-গলি ছেয়ে গেছে পোস্টারে। খুলনা নগরীতে ভোটের প্রচরণার আমেজ যেন একটু বেশিই চোখে পড়ার মতো। শহর জেলার প্রতিটি মোড়ে সকাল আর বিকাল বলে কিছু নেই। সকল প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ, উঠান বৈঠক করছেন। পাশাপাশি চলছে প্রার্থী কর্মী-সমর্থকদের রমরমা প্রচরণা-সভা-সমাবেশ । খুলনায় নির্বাচনি এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এছাড়া নির্বাচনীয় প্রচরণায় প্রতিটি ওয়ার্ডের ইউনিট থেকে নিজ পছন্দের প্রার্থী হয়ে ২০ থেকে ২৫ জনের নারী একটি দল দুপুর পর থেকে ছুটে চলেন ভোটার দ্বারে.দ্বারে। তারা ভোটার এর কাছে যেয়ে হাতে লিফলেট নিয়ে প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে ভোট প্রত্যাশা করেন। এ দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচনে খুলনা ৩ আসনের নৌকার মাঝি এস,এম, কামাল হোসেনকে সাধারণ মানুষ এর কাছে পরিচিত থাকলেও অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল মার্কা প্রতীক নির্বাচন করছেন ফাতেমা জাহান সাথী। তবে অনেক সাধারণ মানুষ স্বতন্ত্র প্রার্থী কে আগে কোনদিন দেখেনি বা সাধারণ মানুষের কাছে খুব একটা পরিচিত নেই বলে গুঞ্জন শোনা গেছে। পাশাপাশি প্রার্থীদের নির্বাচনী অফিসে সকাল হতে রাত্র অবধি এসব অফিস ঘিরে সাধারণ ভোটারদের আড্ডায় জমে উঠছে নির্বাচনী অফিস গুলো। এসব নির্বাচনী অফিস থেকে সকলের জন্য থাকছে ফ্রি চায়ের ব্যবস্থা। এছাড়া হাতে লিফলেট নিয়ে সমর্থিত প্রার্থীদের প্রচারণা করতে দেখা যাচ্ছে। প্রার্থীরা গণসংযোগ, উঠান বৈঠকে দিচ্ছে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। আবার কোন কোন প্রার্থীরা করছেন অভিযোগ। অভিযোগ ও নির্বাচন নিয়ে খুলনা ৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এস,এম, মোর্ত্তজা রশিদি দারা কেটলি মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। অপর দিকে খুলনা ৩- আসনের নৌকার প্রার্থী এস, কামাল হোসেন গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও পথসভা চালিয়ে যাচ্ছেন পথসভায় নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট প্রদানের আহবান জানিয়ে এস এম কামাল হোসেন বলেন ‘ স্বাধীনতার পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য কাজ করছিল, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখন আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরবর্তিতে আঠাশ বছর যারা রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় ছিল তারা দেশের মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন করতে পারিনি, তারা শুধু নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে। পরবর্তিতে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা রাস্ট্রিয় ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। দেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরের পথে।শেখ হাসিনা আমাকে এখানে পাঠিয়ে আপনাদের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য। তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন বলে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।