স্থানীয় সংবাদ

৩৩নং ওয়ার্ডের তিনটি অগ্নিসংযোগ এবং ৪টি ককটেল বিষ্ফরণের ঘটনা, তবে নির্বাচন সুষ্ট ও শান্তিপুর্ণ ভাবে সম্পন্ন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটের আগে

খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি ঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৩ আসনের ৩৩নং ওয়ার্ড যোগিপোল ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে অত্যান্ত সুষ্ট ও শান্তিপুর্ণ ভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে ভোটগ্রহণের আগে আওয়ামী লীগ অফিসে অগ্নিসংযোগ, অফিসের নিরাপত্তা প্রহরীর গায়ে আগুন দেওয়া এবং ভোটের আগের দিন রাতে একাধিক ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় একধিক সুত্রে জানাগেছে। তবে বিচিছন্ন কিছু ঘটনার মধ্যে দিয়ে ওয়ার্ডের ভোটাগণ অত্যান্ত সুস্ট ও শান্তিপুর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ভোটারদেরকে স্বতষ্ফুতভাবে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তার ভোট প্রদান করতে দেখে গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, নির্বাচনের আগের দিন ৬ জানুয়ারী রাতে যোগিপোল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সেন্টারের পাশে খানাবাড়ী এলাকায় একধিক ককটেল বিষ্ফরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে বিষ্ফনের ঘটনায় কোন হতাহতের ঘ্টনা ঘটেনি। ৩নং ওয়ার্ড নৌকা প্রতিকের সেন্টার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মো. ফয়সাল হোসেন বলেন, ভোটাদের মাঝে ভিতি সৃস্টি করতে এবং ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না আসতে ভোটবর্জন বিরোধীরা ভোটের আগের দিন ৬ জানুযারী রাত সাড়ে ১০টায় খানাবাড়ী এলাকায় পরপর দুটি শক্তিশালি ককটেল বিষ্ফরণ ঘটায়। এর ঘন্টা দুই তিন পরে আরো দুটি ককটেল বিষ্ফরণ ঘটিযেছে। বিষয়টি আড়ংঘাটা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। অপরদিকে ঐ কেন্দ্রে খানাবাড়ী গালর্স হাই স্কুল সেন্টারে ৫জানুয়ারী রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা জ্বানালার গ্লাস ভেঙ্গে অফিস রুমে পেট্রোল জাতীয় ধায্য পদার্থ দিয়ে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। আগুনে স্কুলের একটি চেয়ার ও একটি টেবিলের অংশ বিশেষ পুড়ে গেলেও বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটেনি। এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের এস এম কামাল হোসেনের যোগিপোল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী অফিসে কে বা কারা কেরোসিন দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এই ঘটনায় ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সুরুজ্জামান হানিফ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনের নামে মামলা করেন। ওয়ার্ডের র্নির্বাচনী অফিসের নৈশ প্রহরী হাসান ফরাজীর(৪৫)গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। গত ৪ জানুয়ারী রাতে অফিসে ডিউটি করতে আসার সময় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তার গায়ে আগুন দেয়। এ ঘটনায় খানজাহান আলী থানায় হাসান বাদী হয়ে মামলা করেছে(মামলা নং- ১,তাং-৫/১/২৪)।
সকল প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে গতকাল ইউনিয়নের প্রতিটি সেন্টারের ভোটগ্রহণ অত্যান্ত সুষ্ঠ ও শান্তিপুর্ণ ভাব সম্পন্ন হয়েছে। ওয়ার্ডের কোথাও কোন প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। যোগিপোল ইউনিয়নে মোট ভোট পড়েছে ১০১০২ এর মধ্যে নৌকা প্রতিক পেয়েছে ৮৪১৮ ভোট, লাঙ্গল পেয়েছে ৪৬২ ভোট, গোলাপ ফুল পেয়েছে ২শ ভোট এবং ঈগল প্রতিক পেয়েছে ৩৬১ ভোট। এছাড়াও ভোট নস্ট হয়ছে প্রায় ৬৬১টিঁ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button