বাগেরহাটে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে আটকে রেখে দুই তরুণীকে ধর্ষণ : ধর্ষক গ্রেফতার

বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ বাগেরহাটে ভাই ও বন্ধুদের সাথে ঘুরতে আসা দুই তরুনীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় দুই তরুনীকে উদ্ধার এবং ধর্ষনে জড়িত একজন বখাটেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার বখাটে মোঃ শাকিল সরদার (২৫) ফকিরহাট উপজেলার জাড়িয়া গ্রামের মোস্তাক সরদারের ছেলে এবং স্থানীয় একটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। ধর্ষনের শিকার দুই তরুনীর মধ্যে ২১ বছর বয়সী একজন তরুনী বাদী হয়ে এ ঘটনায় দুই বখাটেকে আসামী করে রবিবার রাতে ফকিরহাট থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলা বরাত দিয়ে ঘটনা বিষয়ে ফকিরহাট থানা পুলিশ জানায়, শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে ভিকটিম দুই বান্ধবী চাচাতো ভাই ও তার বন্ধুর সাথে মটরসাইকেলযোগে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেদ্র দেখতে যায়। পরে সেখান থেকে রাত ১১টার সময় বাগেরহাট খানজাহান (রঃ) মাজারে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে আনুমানিক রাত ১২টা ১০ মিনিটে খুলনার দিকে রওনা হয়। পথিমধ্যে ফকিরহাটের জাড়িয়া চৌমাথা এলাকায় গতিরোধক অতিক্রম করার সময় শাকিল সরদার এক তরুনীর ওড়না টেনে ধরে। এতে ওই তরুনী ও তার বন্ধু মটরসাইকেল নিয়ে রাস্তার উপর পড়ে যায়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে অপর মোটরসাইকেলের চালক ও তরুনী মোটরসাইকেল থেকে নেমে এগিয়ে আসলে তরুণ-তরুনীরা কোন কিছু জানতে চাওয়ার আগেই শাকিল ও মেহেদী তাদেরকে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে শাকিল ও মেহেদী ওই তরুনীদেরকে পার্শ্ববর্তী জনৈক স্বপন দেবনাথের চায়ের দোকানের ভিতরে নিয়ে যায়। একজনকে চায়ের দোকানের বেঞ্চের উপর এবং অন্য জনকে পাশ্ববর্তী জনৈক প্রশান্ত ব্যানার্জির সেড দোকানের পিছনে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ধর্ষনকারীরা দুই তরুনী ও তাদের সাথের দুই তরুণকে পার্শবর্তী জারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ওই মেয়েদের আবারও ধর্ষন করা হয়। এক পর্যায়ে তরুনীদের সাথে থাকা এক তরুন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। শাকিল ও মেহেদী তরুন-তরুনীদের কাছে থাকা নগদ টাকা’ ছিনিয়ে নেয় এবং ঘটনার বিষয়ে কাউকে না বলার জন্য হুমকী-ধামকী দিয়ে তাদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এর মধ্যে আগে পালিয়ে যাওয়া তরুণ ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে ঘটনা পুলিশকে জানায়। পরবর্তীতে রবিবার (১৪ জানুয়ারি) তরুণীদেরকে তাদের বাড়ী থেকে নিয়ে আসে পুলিশ। এ ঘটনা বিষয়ে ফকিরহাট থানার ওসি মোঃ আশরাফুল আলম সোমবার বিকেলে সংবাদ কর্মীদের বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ধর্ষণের শিকার দুই তরুণীকে তাদের বাড়ী থেকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে তাদের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। আর এ ঘটনায় এক তরুনী বাদী ২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে শাকিল সরদার নামের একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামী মেহেদী হাসানকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।