ডুমুরিয়ায় ছাড়পত্র ছাড়াই দেদাড়ছে চলছে সেতু ব্রিকসের পরিবেশবিধ্বংসী কার্যক্রম
পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ইটভাটা কর্তৃপক্ষকে উচ্ছেদের নোটিশ দিলেও সেটি অমান্য

বেলার উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি
খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের চহেড়া গ্রামে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কৃষি জমির উপর পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ‘মেসার্স সেতু ব্রিকস-৪’ এর অনিয়মতান্ত্রিক ও পরিবেশবিধ্বংসী কার্যক্রম। এই ইটভাটার মালিক/স্বত্বাধিকারী হলেন, গাজী আব্দুল হাদী। গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ইটভাটা কর্তৃপক্ষকে উচ্ছেদের নোটিশ দেয়া সত্ত্বেও বিষয়টিকে উপক্ষো করেই তাদের কার্যক্রম এখনও চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে এলাকয় জনদূর্ভোগসহ পরিবেশগত বিভিন্ন বিপর্যয় তৈরী হচ্ছে। এমনকি পরিবেশ অধিদপ্তরের দেওয়া নোটিশে উল্লেখ থাকে, পরিবেশগত ছাড়পত্র/নবায়ন ব্যাতিরেকে যে ইটভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন যা বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫(সংশোধিত-২০১০) পরিবেশ বিধিমালা ১৯৯৭ এবং ইট ভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রন) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত-২০১৯)’ অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ। আদালতের ভিন্নরূপ কোন নির্দেশ না থাকলে আপনার ইটভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য পুনরায় নির্দেশ প্রদান করা হলো। উক্ত নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হলে আপনার ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট ও এনফোর্সমেন্ট/উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাসহ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫(সংশোধিত-২০১০) পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৭ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন(নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩(সংশোধিত ২০১৯) অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এই কঠিন হুশিয়ারি দেওয়ার পরেও দেদাড়ছে চলছে এই ইটভাটা ব্যবসার অবৈধ কার্যক্রম। এঘটনায় গত বুধবার উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি প্রদান করেছেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), খুলনার বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘মেসার্স সেতু ব্রিকস-৪’ নামক ইটভাটাটি দীর্ঘদিন থেকে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই অনিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। গত ৩ জুলাই ২০২১ সাল পর্যন্ত পরিবেশ অদিপ্তরের অনুমোদন ছিল। পরবর্তীতে ইটভাটা কর্তৃপক্ষ পুনরায় আবেদন করলেও পরিবেশ অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ে পরিবেশের ক্ষতি, কৃষি জমির ক্ষতি এবং পার্শ্ববর্তী জনগোষ্ঠীর জনদূর্ভোগ বিবেচনা করে পুনরায় অনুমোদন না দেয়া সত্ত্বেও পূর্বের মতোই ইটভাটা কর্তৃপক্ষ তাদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এতে করে এলাকয় জনদূর্ভোগসহ পরিবেশগত বিভিন্ন বিপর্যয় তৈরী হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ পরিবেশ অধিদপ্তর ইটভাটা কর্তৃপক্ষকে উচ্ছেদের নোটিশ দেয়া সত্ত্বেও বিষয়টিকে উপক্ষো করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যা খুবই উদ্বেগজনক ও দুঃখজনক। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ইটভাটা কর্তৃপক্ষের এহেন আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে জরুররীভাবে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত, ২০১৯) আইনকে বিবেচনা করে উচ্ছেদের নোটিশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।