স্থানীয় সংবাদ

বঙ্গবন্ধু শুধু রাজনীতিবিদ ছিলেন না একজন দক্ষ ক্রিড়া সংগঠক ছিলেন

খালিশপুর হাই স্কুলে ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কেএমপি’র কমিশনার

স্টাফ রিপোর্টার : কেএমপির কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ইতিহাসের মহানায়ক স্বাধীনতার মহান স্থপতি যাঁর নেতৃত্বে ত্রিশ লক্ষ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছিলাম। সেই মহান ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন দক্ষ ক্রিড়া সংগঠক। তিনি শুধু রাজনীতিবিদ না, একজন দক্ষ ক্রিড়া সংগঠক ও ক্রীড়াবিদ ছিলেন এবং তারই জ্যেষ্ঠ কন্যা পাঁচবারের সফল বিশ্বনন্দিত রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী কিন্তু তিনি অত্যন্ত ক্রীড়ামোদি মানুষ। যখন বাংলাদেশে খেলা হয়ে থাকে তিনি বহুবার স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখেছেন এবং ক্রীড়া বিদদের সংবর্ধনা জানায়েছেন। ২৭ জানুয়ারি শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় খালিশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্ত্যব্যে কেএমপির কমিশনার এসব কথা বলেন। উক্ত বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত সকলকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। কেএমপি কমিশনার আরও বলেন, ক্রীড়া মানুষের মনের অনেক গ্লানি কমিয়ে দেয় এবং শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানুষের দেহ ও মন ভালো থাকে। বঙ্গবন্ধু’র জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল তিনি ক্রীড়া সাংস্কৃতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আবহানী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করছেন। বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে খেলাধুলা বিমুখতা রয়েছে, যার ফলে অল্প বয়সে ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসার সহ নানান ধরণের রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। খেলার মাঠে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান থাকে না। সকল দল-মত জাতি, ধর্ম, শ্রেণী, পেশা, ধনী, গরিব সবার মধ্যে বন্ধুত্ব সৃষ্টির প্রধান উপাদান হচ্ছে খেলার মাঠ। এখনকার সময়ে হাসপাতালের থেকে খেলার মাঠ বাড়ানো দরকার।কারণ যদি আমাদের সন্তানের খেলার মাঠে যায় তাহলে সমাজে অপরাধে জান্মাবে না, মাদক-ইভটিজিং থেকে তারা দূরে থাকবে।” তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকার কথা বলেন এবং পাঠ্য বইয়ের বাহিরে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও স্বাধীনতার সংগ্রাম তথা মুক্তিযুদ্ধো সম্পর্কে জানার অনুরোধ করেন। অত:পর ছাত্র-ছাত্রীদের কে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হতে এবং টিফিন টাইমে খেলাধুলা সুযোগ করতে শিক্ষকদের অনুরোধ করেন। এসময় বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণী খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ জনাব এস.এম খোরশেদ আহম্মেদ টোন; বঙ্গবাসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ দেলোয়ার হোসেন; খালিশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ শহীদুল ইসলাম এবং খালিশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি জনাব এস.এম মেরশেদ আহম্মেদ মনি-সহ গণ্যমান্য অতিথিবৃন্দ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button