সাচিবুনিয়া এলাকায় সন্ত্রাসী কর্তৃক জীবননাশের হুমকীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার : লবনচরা থানাধীন সাচিবুনিয়া এলাকায় সন্ত্রাসী কর্তৃক সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখল ও জীবননাশের হুমকীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাব মিলানায়তনে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাচিবুনিয়া দরগাতলা এলাকার তুষার রায়ের ছেলে দেবাশীষ রায়। লিখিত বক্তব্য পাঠকালে তিনি বলেন, লবনচরা থানাধীন সাচিবুনিয়া স্কুলের সামনে সাচিবুনিয়া মৌজার বি, আর, এস ১৭৪নং খতিয়ানের বি, আর, এস ৪১২১ দাগের ০.০৬ একর, ৪১২৩ দাগে ০.২৩ একর, ৪১১৭ দাগে ০.১৭ একর, মোট ০.৪৬ একর রেকর্ডীয় জমি আছে। উক্ত জমিতে ওই এলাকার পরিতোষ শীলের ছেলে পুষ্পেনশীল (৪৪) এর সাথে আমাদের বিরোধ রয়েছে। যা নিয়ে আদালতে উভয়ের মামলা চলমান রয়েছে। আমার বাপচাচারা চার ভাই তুষার রায়, মৃনাল রায়, গৌতম রায় ও অলোক রায় সন্তান-সন্ততি পরিবারবর্গসহ তিন পুরুষ ধরে বসবাস করে আসছে। কিন্তু পুষ্পেনশীল বহিরাগত সন্ত্রাসী ভাড়া করে আমাদের জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা ও জীবন নাশের হুমকী দিচ্ছে। ওই জমিতে গত বছরের ৩১ অক্টোবর আদালত স্থিতিবস্থা জারি করেন। যা এখনও বহাল রয়েছে। অথচ, স্থানীয় বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বিবাদী পুষ্পেনশীল বহিরাগত সন্ত্রাসী বটিয়াঘাটা রাঙ্গেমারী এলাকার মতি সরদারের ছেলে সিরাজ সরদার (৩৫)সহ নিজখামার এলাকার অধির রায়ের ছেলে বাদল রায় (৪৫), সাচিবুনিয়া এলাকার দীপক সরকারের ছেলে তন্ময় সরকার (৩০), ননী রায়ের ছেলে দিবদাস (৩০), কৃষ্ণনগর এলাকার শংকর মিস্ত্রীর ছেলে তুরান মিস্ত্রী (২৫), রাঙ্গেমারী এলাকার শাহাজাহান (৩৫) ও সাচিবুনিয়া এলাকার কার্তিক মিস্ত্রীর ছেলে স্বপন মিস্ত্রি (২৮) কে ভাড়া করে উক্ত জমি দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছে। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, গত ১৮ জানুয়ারী সকাল ৮টায় বিবাদীরাসহ অপরিচিত ৫০-৬০জন দলবদ্ধ হয়ে সিরাজের নেতৃত্বে আমাদের জমিতে প্রবেশ করে বাউন্ডারীর কাজ শুরু করে। তখন বাঁধা দিলে তারা আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকে। এরপর লাঠি সোটা নিয়ে হাজির হয়ে মারতে উদ্ধত্য হয়। এসময় তারা ক্ষতি করবে, আমাদের প্রাণে মারিয়া ফেলিবে মর্মে বিভিন্ন রকমের ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। তারা এখনও আমাদের বাড়ির পূর্ব দিকের রাস্তায় উঠার জন্য নির্মিত ইটের রাস্তাটিও বন্ধ করে দিয়ে বাড়ির মধ্যে আটকে রাখে যেটি আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শনের সামিল। উক্ত একমাত্র চলাচলের রাস্তাটিও বন্ধ করে দিয়ে বাউন্ডারী ওয়ালের নির্মাণ কাজ এখনও চলমান রেখেছে। তাদের হুমকীতে বাসা থেকে বের হওয়াও কঠিন বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।