যশোরে প্রলোভন দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে এক নারী নিখোঁজ : স্বামীর মামলা

যশোর ব্যুরো ঃ আয়েশা বেগম (২৬) নামে এক অসহায় নারীকে বাজারে কেনাকাটা করার জন্য প্রলোভন দিয়ে ভারতে পাচারের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি থানা কর্তা আদালতের নির্দেশে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ মোতাবেক মামলা গ্রহন করেন। মামলায় আসামী করা হয়েছে যশোরের অভয়নগর উপজেলার নোয়াপাড়া ধোপাদী দস্তরীপাড়া গ্রামের নিনছার মোল্লার ছেলে শুকুর মোল্লা। মামলাটি করেন, একই উপজেলার মৃত মতলেব দপ্তরীর ছেলে ও আয়েশা বেগমের স্বামী আখের আলী।
মামলায় আখের আলী উল্লেখ করেন, আসামীর সাথে সবজীর দোকানে আসা যাওয়ার মাধ্যমে বাদির পরিচয় হয়। আসামী বাদির সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। বাদি অশিক্ষিত এবং অন্তপ্রাণ সাদামাটা মানুষ হওয়ায় আসামী সেই সুযোগ নিয়ে বাদির বাড়িতে আসামী আসা যাওয়া শুরু করে। বাদি প্রতিদিন সকালে শহরের চুয়াডাঙ্গা বাজারস্থ সবজী বাজারে সবজী বিক্রি করার জন্য চলে আসতো। বাদির অনুপস্থিতিতে আসামী বাদিও বাড়িতে যাতায়াত করে। বাদির বাড়িতে যাতায়াতের সুযোগে বাদিও স্ত্রীর সাথে আসামী সখ্যতা গড়ে তোলে। বাদির অবর্তমানে গত ১৯ জানুয়ারী সকাল ৯ টায় বাদির বাড়িতে আসামী মটর সাইকেল যোগে আসে। বাদির স্ত্রীকে শিশু সন্তান রেখে আসামী আয়েশা বেগমকে সাথে নিয়ে যশোর শহরে কেনাকাটা করার জন্য প্রলুব্ধ করে নিয়ে আসে। এরপরে বাদির স্ত্রীর আর কোন খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি। বাদি ১নং স্বাক্ষী বাদি ১নং স্বাক্ষী চুড়ামনকাটি বাগডাঙ্গা গ্রামের সোহাগ হোসেনের মারফত খবর নিয়ে বাড়িতে এসে নিজ স্ত্রীকে না পেয়ে শিশু সন্তানকে কোলে করে আত্মীয় স্বজন বাড়িতে খোজ খবর শুরু করে। আয়েশা বেগম গত ২৫ জানুয়ারী সন্ধ্যা অনুমান ৭ টা ৪০ মিনিটে অজ্ঞাতনামা মোবাইল হতে সোহান হোসেনের ফোনে ফোন করে শুকুর মোল্লার এহেন কর্মেও কথা খুলে বলে এবং আরো জানায় সে, আয়েশা বেগমকে ভারত সীমান্তে বাংলাদেশী অংশে অজ্ঞাত বাড়িতে আটক করে রেখেছে ভারতে পাচার করার জন্য। সোহান হোসেন ও বাদি গত ২৫ জানুয়ারী শিশু সন্তানসহ স্বাক্ষীদের নিয়ে বাদি বেনাপোল পোর্ট থানায় যেয়ে ঘটনা খুলে বললেও কোন সুরাহা করতে পারেনি। বাদি ও স্বাক্ষীগন সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুজি করেও না পেয়ে ফেরত এসে কোতয়ালি থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দিলে মামলা করতে বাদির বিলম্ব হয়।