সয়াবিন তেলের দাম এখনো বাড়তি

১লা মার্চ থেকে লিটারে ১০টাকা কমার থাকলেও ভোক্তা পর্যায়ে কমেনি, রোজার আগে কমতে পারে বলছেন ব্যবসায়িরা

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ বাজারে এখনও আগের দরে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্য তেল। গেল পহেলা মার্চ হতে ভোজ্য তেল লিটার প্রতি দশ টাকা কম হওয়ার কথা থাকলেও তা ভোক্তা পর্যায়ে এখনও কার্যকর হয়নি। এদিকে ব্যবসায়িরা বলছে এখন বাজারে নতুন দরের লেভেল করা ভোজ্য তেলের বোতল বাজারজাত হয়নি। সংশ্লিষ্ট কোম্পানি গুলো এখনও আগের নির্ধারিত মূল্যের ভোজ্য তেল বাজারে সরবারাহ করছে। তবে পবিত্র রমজান মাসের আগে হয়তো নতুন নির্ধারিত দশ টাকা কমে সয়াবিন তেল বাজারে আসতে পারে। এখনও বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করা হচ্ছে খোলা ও বোতল তেল ১৭০ টাকা প্রতি লিটার। এছাড়া বাজারে দোকানির সাথে দরকষাকষি করলে লিটার প্রতি সামান্য দুই থেকে তিন টাকা ছাড়া পাওয়া গেলেও পাড়া-মহল্লায় একটি পয়সা কম নেয়া হচ্ছেনা। এ বিষয়ে কথা হয় ভোক্তা এলনা রহমানের সাথে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভোজ্য তেল এর শুল্ক কম নিয়ে প্রতি লিটার প্রতি দশ টাকা কম দাম নির্ধারিত করলেও এখনও বাজারে কোন প্রভাব পড়েনি। এ দিকে গেল ২২ শে ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন শুধু মাত্র লাল চিনি কেজি প্রতি ২০ টাকা বৃদ্ধির ঘোষনার সাথে সাথে বাজারে সাদা চিনি বস্তা প্রতি বেড়ে যায় ২শ থেকে ৩শ টাকা পর্যন্ত। এর অর্থ যে পণ্যের দাম বাড়বে শুনে দ্রুত কার্যকর হয়। আর যদি কোন পণ্যের দাম কম হওয়ার ঘোষনা দেয় তাহলে সেটি নিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু হয়। আমার আর কিছু বলার নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রয়েছে। এ বিষয়ে কথা হয় নগরীরর খালিশপুর বৈকালী বাজার এলাকায় মোতাহার স্টোরের মালিকের সাথে তিনি বলেন, এখনও খুচরা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি। আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৫ বা ১৬৮ টাকা লিটার। বাজারে এখনও নতুন ভাবে নির্ধারিত দরে তেল সরবারাহ হয়নি। আমরা ডিলারদের কাছে অর্ডার করলে এখন পুরাতন দামের সয়াবিন তেল দিয়ে যাচ্ছে। আমরা যে দামে ক্রয় করছি তার থেকে সামান্য কিছু লাভে বিক্রি করছি। আজও কোম্পানি গুলো পুরাতন লেভেলের মূল্যে সয়াবিন তেল সরবরাহ করেছে। তবে আশা করা যাচ্ছে আসছে রমজান মাসের আগে নতুন লেভেলের সয়াবিন তেল বাজারে সরবারাহ হবে তখন দাম কমবে। এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনার বিভাগীয় উপঃ পরিচালক মোঃ সেলিম বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে গতকাল ও সভা করেছি। কোম্পানি পর্যায়ে আরও তিন দিন সময় নিয়েছিল। আমরা বিষয়টি দেখছি, না কমলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।