নকশা অনুযায়ী ভবন করার জন্য রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় আইন দ্বারা বুঝালেন কেডিএ’র চেয়ারম্যান

৫৩ জন ভবন মালিকের মাঝে নকশা বিতরণ
স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মিরাজুল ইসলাম এএমডব্লিউসি, পিএসসি খুলনার ভবন মালিকদের কেডিএ’র নকশা অনুযায়ী ভবন করার জন্য রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় আইন দ্বারা বুঝিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কেডিএ’র মিলনায়তনে অনুমোদিত নকশা গ্রহনকারী এবং নকশা প্রণয়নকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে মত বিনিময় সভায় চেয়ারম্যান সভাপতির বক্তব্যে ভবন মালিকদের সঠিক নিয়ম মেনে ভবন করার ব্যাপারে তাগিদ দেন। সভায় ৫৩ জন ভবন মালিকের অনুমোদিত নকশা তাদের হাতে তুলে দেন চেয়ারম্যান নিজে। সভায় চেয়ারম্যান বলেন, বাসযোগ্য নগরায়ন করতে নকশা বর্হিভূত কোন ভবনের অনুমোদন কেডিএ দিবে না। এক পর্যায়ে ওই ভবন কেডিএ অপসারণ করবেই। এতে কোন ছাড় দেয়ার সুযোগ আইনে নেই। জমি ক্রয়ের সময় অনলাইনে ভূমি ম্যাপ চার্জ দিয়ে জমি জলাধারা না কি বিলেন দেখেন। বিষয়টি পরিস্কার করে জেনে বুঝে জমি ক্রয় করুন। জলধারা ক্রয়ের পর ওই জমিতে কেডিএ কোন ভাবে নকশা দিবে না। এ জন্য কেডিএ-কে দায়ী করলে হবে না। আপনাকে জমি ক্রয়ের আগে অনলাইনে চার্জ দিয়ে জমির অবস্থান বুঝে নেন। নকশার জন্য পরিপূর্ণ আবেদন অনুমোদন করতে কেডিএ’র ১৫-৩০ দিন লাগে। তার বেশী লাগবে না। এ সময়ের বেশী সময় কেউ নিলে সরাসরি চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হওয়ার জন্য তিনি বলেন। ভবনের এনওসি পেতে কেডিএ’র কারো কাছে দ্বারস্থ হওয়ার প্রয়োজন নেই। কেডিএ’র ওয়েভসাইডে গিয়ে আবেদন ফরমে অনলাইনে আবেদন করুন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে। অটো আপনার ভবনের নকশা প্রস্তুত হয়ে যাবে। এ জন্য কোন বেগ পাওয়ার কথা নয়। যদি আপনি চাহিদা অনুযায়ী কাগজপত্র আবেদনের সাথে যুক্ত করতে ব্যর্থ হন সে দায় কেডিএ নেবে না। তিনি বলেন, কেডিএ এখন সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবামূলক কাজগুলো করে চলেছে। আপনার আবেদনের নথি কার কাজে আছে তা কেন অনুমোদন হচ্ছে না তা আপনি কেডিএ’র ওয়েভ সাইডে চার্জ করলেই জানতে পারবেন সহজে। সুতরাং আপনার কেডিএ’র সেবা পেতে কোন দালালের দ্বারস্থ হবেন না। তিনি বলেন, প্রতিটি মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির ও গীর্জার নকশা থাকা জরুরী। কেডিএ’র প্লান অনুযায়ী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ভবন করা খুবই জরুরী বলে তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলেন। গত প্রায় পাঁচ মাস আগে কেডিএ’র সফটওয়ার চালু করা হয়েছে। এ সময় পর থেকে এ পর্যন্ত ১২ শতাধীক নকশার অনুমোদন কেডিএ দিয়েছে। চলতি মাসে মাত্র চারটি আবেদন জমা পড়েছে। প্রতিটি আবেদনই দ্রুত সমাধান করা হয়। কোন আবেদনই পেন্ডিং থাকে না। তিনি সবাইকে আরো দায়িত্বশীল হয়ে পরিকল্পিত নগরায়ন করার সহযোগিতার আহবান জানান।