রমজানেও নগরীর হোটেলগুলোতে চলছে দেহ ব্যবসা : কেএমপি’র অভিযানে আটক ৭

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ খুলনা মহানগরীতে পবিত্র মাহে রমজান মাসের মধ্যেও অভিনব পদ্ধতিতে চলছিল দেহ ব্যবসা। তবে গেল ১৬ মার্চ কেএমপি’র সদর থানা পুলিশের অভিযানে হোটেল সবুজ বাংলা আবাসিক হোটেল থেকে ৪ নারীসহ ৩ জন পুরুষ আটক হয়েছে। মূলতঃ নগরীতে দীর্ঘদিন যাবৎ আবাসিক হোটেলে চলছিল দেহ ব্যবসা। সকাল সাতটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত চলছে এই দেহ ব্যবসা। তবে কিছু কিছু আবাসিক হোটেলে ভোর হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এই অসামাজিক কাজ। এছাড়া এসব খদ্দেরের তালিকায় স্কুল কলেজের থেকে শুরু করে উঠতি বয়সী তরুণ থেকে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ রয়েছেন । কখনও হোটেলের কর্মচারী বা যৌন কর্মিরা ফোনে এসব খদ্দের যোগাড় করছেন। নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অনুসন্ধানে দেখা যায়, সারা বছর তারা দেহ ব্যবসা চালিয়ে গেলেও শুধুমাত্র পবিত্র রমজান মাসে প্রথম চার থেকে পাচ দিন দেহ ব্যবসা বন্ধ রাখেন। আবার হাতে গোনা গুটি কয়েক হোটেল মালিকদের দাবি তারা এই পবিত্র রমজান মাসে কোন দেহ ব্যবসা করে না। নাম পরিচয় গোপন রেখে গতকাল রবিবার কথা হয় হোটেল মালেকের কর্মচারী নাটা দুলাল ওরফে (ইসহাক) ৬৫ এর সাথে। তিনি বলেন, ভাই আপনি ডাকবাংলা মোড়ে আবাসিক হোটেল এ-মালেকে চলে আসেন। এখনও আছে ৪ জন মেয়ে। আপনি চলে আসেন। তবে হোটেলে আসার আগে আমাকে ফোন করে আসবেন। এছাড়া এখানে পছন্দ না হলে আরও কালেকশন আছে। তবে রমজান মাসে কেন করছেন এই প্রশ্নে তিনি ফোন কেটে দেন। এছাড়া খোঁজ নিয়ে জানা যায় আবাসিক হোটেল আরাফাত, স্বপ্নপুরি, সুবজ বাংলা, এ- মালেক, সুগন্ধা, মৌসুমী, গোল্ডেন আপেল, জে-কেসহ আরও বেশ কয়েকটি হোটেলে পবিত্র রমজানে মাসেও অবাধে চলছে এই অসামাজিক কার্মকান্ড। এ বিষয়ে কথা হয় খুলনা সদর এসআই মোঃ রাকিবুল ইসলাম রাকিব এর সাথে তিনি বলেন, কেএমপি’র কমিশনার স্যারও ডিসি সাউথসহ খুলনা সদর থানার ওসি স্যারের নির্দেশে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। ইতোমধ্যে ৭জন আটক হয়েছে। আটককৃত সবাইকে ৭৭ ধারায় আদালতে চালান করা হয়েছে। সবাইকে আদালত ৭দিনের কারাদ- দিয়েছে। অভিযানের কথা শুনে সবাই সতর্ক হয়ে গেছে। এমন অভিযান চলমান থাকবে। এ বিষয়ে নিয়ে স্থানীয় সচেতন নাগরীক মো. জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, পবিত্র রমজান মাসে ও এমন অনৈতিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে হোটেল মালিকেরা। এসব বন্ধ করা হোক। রমজান মাস বলে কোন কথা নেই। এধরনের কার্যকলাপ চিরতরে বন্ধ করতে হবে। এর জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সব সময়ে নজরদারি রাখতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় সব হোটেল ব্যাবসায়ি মালিকদের সাথে আলোচনা করে এসব আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা বন্ধে স্থায়ী সমাধান করতে হবে। এছাড়া রমজান মাসে যেন আর কোন আবাসিক হোটেলে এমন অসামাজিক কাজ না হয়। এ বিষয়ে কেএমপি’র ডিসি সাউথ মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় সদা সর্বদা প্রস্তুত। ইতোমধ্যে আবাসাকি হোটেলে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কোন আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যাবসা হলে আমাদের অবগত করুন। নগরীতে আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যাবসা বন্ধে কেএমপি’র এমন অভিযান চলমান আছে থাকবে।