স্থানীয় সংবাদ

টুকি-টাকি ঈদ কেনা কাটা নিয়ে ব্যস্ত হচ্ছে নগরবাসী

শেখ ফেরদৌস রহমান : মাহে রমজানের রহমতের দশদিন শেষ না হতেই শুরু হয়েছে নগরীর মার্কেটগুলোতে টুকিটাকি কেনাকাট। আগামী ১২ই এপ্রিল পালিত হতে যাচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর। এর মধ্যে ঈদের কেনা কাটায় জমে উঠতে শুরু করেছে খুলনার মার্কেট পাড়াগুলোতে। চলছে টুকি-টাকি ঈদ কেনাকাটা। মূলত: যাদের সামর্থ আছে সেসব ক্রেতারা ঈদের জন্য আগাম কিছু কেনা কাটা শুরু করেছে। এছাড়া ঈদের আগে মার্কেট-পাড়াতে পোশাকের দাম বাড়তে পারে। এমন আশঙ্কায় অনেক ক্রেতারা আগেভাগে শুরু করেছেন পোশাক কেনাকাটা। তবে অধিকাংশ পোশাকের দোকানে ঈদের নতুন কালেকশন এখনও পৌঁছেনি। তবে গেল বছরের দেশি পোশাকের পাশাপাশি চীন, জাপান, কোরিয়ার প্যান্ট ও শ্যার্ট পিস, পাঞ্জাবি এবং ভারতীয় থ্রি পিছ রয়েছে মার্কেটে। তবে শুরু থেকে ঈদ কেনাকাটায় পুরুষ ক্রেতার তুলনায় মহিলাদের ও শিশুদের উপস্থিতি বেশি দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে ক্রেতা নাদিরা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, একটি থ্রি পিসের মূল্য চেয়েছে ১৫০০ টাকা। এছাড়া অন্য একটি থ্রি পিসের মূল্য চাচ্ছে ২৫০০ টাকা। মনে হচ্ছে গেল বছরের থেকে একটু দাম বেশি নিচ্ছে দোকানিরা। ছোটদের পোশাকের দামও অনেক বেশি দাবি করছে । মূলতঃ প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির একটি প্রভাব এবারে ঈদের পোশাক বাজারে পড়তে পারে। এছাড়া বিপনী বিতান গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ের আগে একটু কেনাকাটা করতে এসেছি। তবে দোকানিরা পোশাকের দাম কম নিতে অনাগ্রাহ প্রকাশ করছে। পাশাপাশি দেখা যায় নগরীর বিভিন্ন শপিংমল ও বাজার, মোড়ের সামনে ভ্রাম্যমান পোশাক বিক্রেতারা ভ্যানে করে প্যান্ট, টিশার্ট, জামা সহ বিভন্ন পোশাক সাজিয়ে বিক্রি করছেন। পাশাপাশি এসব পোশাকের মূল্যও নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে। অনেক ক্রেতা সেই সব হকারদেরকে ঘিরে ধরে পোশাক পছন্দ করছে । তবে এই নির্ধারিত পোশাক গুলো সাধারণ ক্রেতাদের নাগালে রয়েছে । প্রকার ভেদে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। এ বিষয়ে পোশাক ব্যাবসায়ি আকবার হোসেন বলেন, এবছর সব ধরনের পোশাকের বাজারে দাম বাড়তি আমরা চাহিদা অনুযায়ি এখনও ঈদের জন্য নতুন পোশাক আমদানি করতে পারিনি। মহিলাদের কালেকশন বেশি যেমন জামদানী, কাতান, সিল্ক, হাফ, ফ্লোর টাচ, লং ফ্রক, লং কামিজ, কটকটি ড্রেস বেশি আছে। এছাড়া ছিট কাপড়ের দোকান থেকে মেয়েরা পছন্দ মতো দামী কাপড় কিনে দর্জি দোকানে বিভিন্ন মডেলের পোশাক তৈরি করছে। ইতোমধ্যে দর্জি দোকানসমূহে অর্ডার নেয়া শুরু হয়ে গেছে। পাশাপাশি কসমেটিক দোকান গুলোতে আসন্ন ঈদের আগে বেচা-বিক্রি বাড়ছে। ঈদের আগে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যে কেনা কাটা করতে সমস্যা হওয়ার জন্য ঈদ কেনাকাটা শুরু করছে নগরবাসী।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button