দৌলতপুরে বাহারি স্বাদের ইফতার বিক্রি!

বিভিন্ন হোটেলসহ রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে সু-স্বাদু ইফতারী
স্টাফ রিপোর্টার ঃ পবিত্র মাহে রমজান মাস ঘিরে নগরীর দৌলতপুর এলাকার প্রায় সর্বত্রই চলছে ইফতারী বিক্রির আয়োজন। দৌলতপুরের স্থায়ী খাবার হোটেল ছাড়াও রাস্তার মোড়ে মোড়ে চলছে মৌসুমি ইফতার ব্যবসায়ীদের মাঝে ইফতারি বিক্রির মহা উৎসব। বিভিন্ন পেশাজীবি ঘরমুখো মানুষ তাদের কর্মস্থল হতে ফেরার পথে ইফতারীর আগ মুহুর্তে ওই সকল দোকান হতে ইফতারী সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন তাদের পরিবারের জন্য। দৌলতপুরের স্থায়ী হোটেল-রেস্তোরাসহ স্থানীয় এলাকার মৌসুমি ইফতারী ব্যবসায়ীরা রীতি মতো রমজানকে ঘীরে ডাকহাঁকে বিক্রি করছে বাহারি ইফতারী। সোমবার ( ২৫ মার্চ) রমজানের ১৪তম দিনে দৌলতপুরের বিভিন্ন এলাকা, ট্রাফিক মোড়, মিনাক্ষী মোড়, বাজার মোড়, মুহসীন মোড়, নতুরাস্তা মোড়, রেলিগেট মোড়, মানিকতলা মোড়, কালীবাড়ি বাজার, মধ্যডাঙ্গা, পালপাড়া, দেয়ানা, গাইকুড়, আড়ংঘাটা, পাবলা, সবুজ সংঘ মাঠ চত্ত্বর, তিন দোকানের মোড়, চন্নুর বটতলা, যশোর মোড়, আসাদের মোড়, কবিরবটতলা, কাশিপুরসহ বিভিন্ন এলাকা সমূহের বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরা ও মৌসুমি ইফতার বিক্রির দোকানে ছোলা, মুড়ি, পিয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, ডিমের চপ, চিকেন চপ, শাহী জিলাপী, রেশমী জিলাপী, শাহী হালিম, ফ্রটুস্ জুট, ফিরনি, লাচ্ছি, ফালুদাসহ হরেক স্বাদের ইফতারী বিক্রি করতে দেখা গেছে। মৌসুমি ইফতার ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, , ছোলা প্রতিকেজি ১৬০ টাকা, পিয়াজু প্রতি পিস ৮/১০টাকা, বেগুনি ৮/১০টাকা প্রতি পিস, আলুর চপ ৮/১০টাকা, ডিমের চপ বড় প্রতি পিস ২০টাকা, মাঝারী প্রতি পিস ১০টাকা, চিকেন চপ প্রতি পিস,২০/৩০টাকা, চিংড়ি চপ প্রতি পিস ৩০টাকা, বুন্দিয়া প্রতিকেজি ২০০টাকা শাহী জিলাপী প্রতিকেজি ১৯০/২০০টাকা, রেশমী জিলাপী প্রতি কেজি ৩০০টাকা, শাহী হালিম প্রতি কেজি ৩০০টাকা, হাফ কেজি ১৬০টাকা, ফিরনি প্রতি বাটি ৫০টাকা, লাচ্ছি প্রতি গ্লাস ১০০টাকা, ফালুদা প্রতি গ্লাস দরে ১০০/১২০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দৌলতপুর কেডিএ মার্কেট সংলগ্ন ইফতার বিক্রেতা হবি জানান, আমি সারা বছরই ছোলা পিয়াজু, পুরি বিক্রি করে থাকি। তবে রমজান উপলক্ষ্য ছোলা, পিয়াজু, বেগুনী আলুর চপসহ কয়েক প্রকার ইফতারী বিক্রি করছি। ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে কেনাবেচা বেশ ভালো হচ্ছে। এসময় বেশ ভীড় হয়। দৌলতপুর ঋষিপাড়ার ইফতার বিক্রেতা মিঠু জানান, প্রতিদিনই দুপুর হতে ইফতার তৈরীর প্রস্তুতি গ্রহন করি। আছরের নামাযের ইফতারী ভাজতে শুরু করি। দু’টো কারিকর রাখা আছে। রমজান উপলক্ষ্য প্রতিদিনই ছোলা, বেগুনি, পিয়াজু, আলুর চপ, ডিমের চপ, তৈরী করি। এলাকার লোকজনসহ পথচারীরা ইফতারীর পূর্ব মুহূর্তে বাসার জন্য কিনে নিয়ে যান। ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক জানান, বাড়ীতে আমি আর আমার স্ত্রী দু’জন রোজা রাখি। ঘরে বাইরে আমরা দু’জনই। প্রতিদিনই সকালে উঠে অফিসে চলে যায়, স্ত্রী বাড়ীতে একা থাকে। অফিস হতে ফেরার পথে প্রয়োজন অনুসারে ইফতার কিনে নিয়ে যায়। বিশেষ করে হালিম ও ফালুদা কেনাবেশি পড়ে।
দৌলতপুর শামিম হোটেলের সত্ত্বাধীকারি মোঃ আশিকুর রহমান শুভ জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও আমার প্রতিষ্ঠানে মান সম্মত ইফতার সামগ্রী তৈরী করা হচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে পিয়াজু , বেগুনী, আলুর চপ, শাহী জিলাপী, রেশমী জিলাপী, ফিরনী, কাশমিরী টিকিয়া, লাচ্ছি , ফালুদা, খাসীর কাবাব, বার-বি-কিউ, ভেজিটেবল রোল, হালিম, বুন্দিয়াসহ ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের ইফতারি বিক্রয় করা হচ্ছে। বাজারে প্রায় প্রতিটি জিনিসের দামই বেশি, তারপরও সামান্য লাভে ইফতার তৈরী করে বিক্রি করা হচ্ছে।