যথাযোগ্য মার্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন

প্রবাহ ডেস্ক
নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন স্থানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানোর বিস্তারিত সংবাদ।
ফুলতলা
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ফুলতলা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসনীম জাহান এর নেতৃত্বে স্বাধীনতার স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফারজানা ফেরদৌস নিশা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জেসমিন আরা, থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আশরাফ হোসেন আশু, ফুলতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মদ ভূঁইয়া শিপলু, শেখ আবুল বাশার ও সরদার মনিরুল ইসলাম, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সেলিম সুলতান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা, সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ শাহীন আলম, শিক্ষা কর্মকর্তা শাহানাজ বেগম, উপ-সহকারী পরিচালক (বীজ) মোঃ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী ইয়াছিন আরাফাত, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ওবায়দুল হক হাওলাদার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা তাসনিম আরা, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সালমা খাতুন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তৈয়েবুর রহমান প্রমুখ। সকাল ৯ টায় উপজেলার ডাবুর মাঠ প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মার্চ পাস্ট, কুঁচকাওয়াজ প্রদর্শনী ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। পরে, উপজেলার শহীদ হাবিবুর রহমান মিলনায়তনে স্বাধীনতার সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
পাইকগাছা
দিবসটি উপলক্ষে পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা ৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) সাইফুল ইসলাম, ওসি ওবাইদুর রহমান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাত হোসেন বাচ্চু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দিন ফিরোজ বুলু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সমরেশ রায়, মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ লতিফুল ইসলাম, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার, উপজেলা কৃষি অফিসার অসীম কুমার দাশ, শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী অধ্যাপক ময়নুল ইসলাম ও প্রভাষক লুৎফা ইসলাম। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার প্রত্যুষে সংসদ সদস্য, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, থানা ও পৌরসভা সহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সংগঠন ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর পাইকগাছা সরকারি কলেজ মাঠে পুলিশ, আনছার, রোভার স্কাউট ও গার্লস গাইড কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে। এসময় বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। দুপুরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ও একুশে মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
কয়রা
দিবসটি উপলক্ষে সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, কয়রা থানা পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন, কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাব, কয়রা আইনজীবী সমিতি, পুজা উদযাপন পরিষদ, কয়রা সরকারী মহিলা কলেজ, কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয়, কয়রা বাজার কমিটি, সোনালী ব্যাংক, স্বাস্থ্য বিভাগ, বাংলাদেশ স্কাউটস কয়রা উপজেলা শাখা, মানব কল্যাণ ইউনিট, মদিনাবাদ যুব সংঘ, ১নং কয়রা তরুন সংঘ সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, ক্রীড়া অনুষ্ঠান শেষে বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী অফিসার বিএম তারিক-উজ-জামানের সভাপতিত্বে ও যুব উন্নয়ন অফিসার মোঃ রেজাউল করিমের পরিচালনায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম শফিকুল ইসলাম, কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আলম, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আব্দুল্যাহ আল মামুন, প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ মুস্তাইন বিল্যাহ,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম গোলাম রব্বানী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রুহুল আমিন সানা, মোঃ ইয়াকুব আলী,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মাহবুবুর রহমান মন্টু প্রমুখ।
দাকোপ
দিবসটি উপলক্ষে দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য নানা কর্মসুচীর মধ্যদিয়ে উদযাপন করা হয়েছে। ২৬ মার্চ গৌরবান্বিত এই দিনটিতে দাকোপ উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে সাতটায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চালনা পৌরসভা, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠন, উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার সকাল আটটায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়দেব চক্রবর্তীর নেতৃত্বে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে একযোগে সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড ও ছাত্র-ছাত্রীদের আয়োজনে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ, শিশু সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বেলা ১১টায় বীর মুক্তি যোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, পুরুস্কার বিতরণ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়দেব চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পাপিয়া সুলতানা, থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ শেখ আবুল হোসেন, চালনা পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ^াস, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড়, উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বঙ্কিম কুমার হালদার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডাঃ সুদীপ বালা, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রণজিত কুমার, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিত রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোজ কান্তি রায়,উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রজিত রায়, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুরাইয়া সিদ্দীকা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ আব্দুল কাদের, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমান্ত পোদ্দার, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পরিতোষ আউলিয়া, দাকোপ প্রেসক্লাবসভাপতি গোবিন্দ বিশ^াসসহ উপজেলা দপ্তর প্রধান, সাংবাদিক বৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ প্রমুখ। এ ছাড়া, হাসপাতাল, এতিমখানা ও থানা হাজতখানায় উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। সুবিধা জনক সময়ে উপজেলার সকল মসজিদ, মন্দির, গীর্জা,প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি এবং মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত, প্রার্থনা ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। চালনা পৌরসভা সহ উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে জাতীয় পতাকা ও বিভিন্ন রঙের পতাকা দ্বারা সড়ক সজ্জিত করা হয়।। এছাড়াও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের অংশগ্রহণে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক চিত্রাঙ্কন ও শিশুদের রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
তেরখাদা
দিবসটি উপলক্ষে তেরখাদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সূর্যদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ চত্বরে দিবসের কর্মসূচীর সূচনা হয়। জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন অনুষ্ঠানের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফা বেগম নেলী ও তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ সরদার মোশারেফ হোসেন। এরপর অতিথিবৃন্দ শান্তির প্রতীক কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে পরিদর্শন করেন। কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লেতে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পুলিশ, আনসার ভিডিও, ফাইয়ার সার্ভিস কর্মীবৃন্দ। পরবর্তীতে বেলা সাড়ে ১১টায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ। এরপর বেলা ১২টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ম্যারাথন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা ৪ আসনের সাংসদ আব্দুস সালাম মূর্শেদী। এ সময় তিনি কৃষি সম্প্রসারণ কর্তৃক আয়োজিত ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলা ২০২৪ এর উদ্বোধন করেন ও বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। পরে তিনি উপজেলা গরীব ও অসহায়দের মাঝে বকনা গরু বিতরণ করেন ও করোনাকালীন সময়ের অসহায় ১৫ জন উপকারভোগীর মাঝে প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের চেক বিতরণ করেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেশন প্রতিযোগীতায় ২০২৩ ও ২৪ এর কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র, উত্তোরীয় ও ২ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শারাফাত হোসেন মুক্তি, নাজমা খান, ইউপি চেয়ারম্যান এফএম অহিদুজ্জামান, কেএম আলমগীর, এসএম দীন ইসলাম, শেখ মহাসীন, কৃষ্ণ মেনন রায়, বুলবুল আহমেদ প্রমুখ, সমাজসেবক শিল্পপতি আবুল হাসান মুসল্লী, আলমগীর হোসেন, বাছিতুল হাবিব প্রিন্স, মোঃমোতালেব হোসেন, মইন উদ্দিন, শেখ ফরিদ, শামসুল আলম বাবু, আব্দুর রাজ্জাকসহ উপজেলা আলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগসহ উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চিতলমারী
দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে চিতলমারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলণ করা হয়। সকাল সাড়ে আট টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ফায়জুল হক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলণ করা হয়। সকাল নয় টায় কুচক্ওায়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ এবং ডিসপ্লে অংশ গ্রহণ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া যায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আসমত হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবেরা কামাল স্বপ্না, চিতলমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মো: ইকরাম হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: বাবুল হোসেন খান, সাধারন সম্পাদক পীযূষ কান্তি রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ প্রমুখ।
বাগেরহাট
দিবসটি উপলক্ষে ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির শুভ সূচনা হয়। এরপরে সকাল সাড়ে ৬টায় বাগেরহাট শহর তলীর দশানী এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন। সকাল ৮টায় বাগেরহাট স্টেডিয়ামে জেলা শহর কেন্দ্রিক বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে অভিবাদন ও কুচকাওয়াজে অংশ নেন। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয় জেলা প্রশাসন। অনুষ্ঠানে সংরক্ষিত নারী এমপি ফরিদা আক্তার বানু লুচিসহ বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন, পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অরবিন্দু বিশ্বাসসহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সরকারী হাসপাতাল, জেলা কারাগার ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ খালিদ হোসেন।
ফকিরহাট
দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মডেল থানা পুলিশ, কাটাখালী হাইওয়ে থানা পুলিশ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবপ অর্পন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় শহীদদের স্বরণে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়। পরে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুলের স্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আট্টাকা কেরামত আলী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন দাশ। এরপর কুচকাওয়াজ পরিদর্শণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু। এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আশরাফুল আলম। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলতাফ হোসেন টিপুর পরিচালনায় এসময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাহিদ সুজা, এসিল্যান্ড এম আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ আহম্মেদ সহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, গনমাধ্যমকর্মী ও ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এদিন দুপুর ১২টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
নড়াইল
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে প্রত্যুষে নড়াইলে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সুচনা করা হয় পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ, গণ কবর, বধ্যভূমি ও বঙ্গবন্ধুর মুর্যালে এবং বাংলাদেশ চেতনা চত্বরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামীলীগ, নড়াইল পৌরসভা, নড়াইল প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবি সমিতিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল,সরকারি বিভিন্ন দপ্তরসমূহ, সরকারি-বে-সরকারি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন, মোনাজাত, গণকবর জিয়ারত করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোঃ মেহেদী হাসান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস, সিভিল সার্জন ডাঃ সাজেদা বেগম ,স্থানীয় সরকার বিভাগ, নড়াইলের উপ-পরিচালক জুলিয়া সুকায়না, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, সরকারি কর্মকর্তা, বীরমুক্তিযোদ্ধা,সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও জেলা আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এর পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা কর্মসুচি পালিত হচ্ছে।