কেসিসির মৃত শ্রমিকের বেতন আত্মসাত : কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা : দু’জন চাকুরিচ্যূৎ

স্টাফ রিপোর্টারঃ মৃত কর্মচারীর নামে বেতন তুলে আত্মসাতের ঘটনায় জড়িত থাকায় খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) উচ্চমান সহকারী মো. আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। ২৫ মার্চ কর্পোরেশন কতৃপক্ষ মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে গত বছর ২১ ডিসেম্বর মাস্টাররোলের তিন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়। কেসিসি থেকে জানা গেছে, কেসিসিতে মাস্টাররোল শ্রমিক হিসেবে চাকরি করতেন শেখ ইব্রাহিম। ২০২০ সালের ৭ মে তিনি মারা যান। কিন্তু তার নামে নিয়মিতভাবে বেতন উত্তোলন হতে থাকে। প্রায় সাড়ে ৩ বছর ধরে শেখ ইব্রাহিমের নামে বেতন উত্তোলন করে প্রায় ৬ লাখ ৭ হাজার টাকা আত্মাসাত করা হয়। গত বছর কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে বেশ কয়েকটি পদে রদবদল হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। কেসিসির ভারপ্রাপ্ত সচিব সানজিদা বেগম জানান, সিটি মেয়রের নির্দেশে পুরো টাকা কেসিসির ফান্ডে জমা দেন অভিযুক্তরা। টাকা কেসিসির ফান্ডে জমা দেওয়ার পর জড়িত থাকার অপরাধে ২১ ডিসেম্বর মাস্টাররোলের ৩ কর্মচারীকে চাকরিচ্যূতির আদেশ জারি করা হয়। চাকরিচ্যূত কর্মীরা হলেন, লাইব্রেরিতে কর্মরত অফিস সহায়ক সাইফুর রহমান, কনজারভেন্সি বিভাগের রুবেল হোসেন ও যানবাহন শাখার শহিদুল ইসলাম। তবে ইতোমধ্যে চাকুরি চ্যুতির আদেশ বাতিল করে নতুন করে রুবেলকে ট্রেড লাইসেন্স শাখায় চাকুরি দেয়া হয়েছে। চাকুরিচ্যূত সাইফুুর রহমান কেসিসি কর্মচারি কল্যাণ ফান্ডের ৪২ লাখ টাকা আতœসাতের সাথে জড়িত রয়েছে। আর যানবাহন শাখার শহিদুল ইসলাম কেসিসি এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন কল্যাণ ফান্ডের টাকা আতœসাতের সাথে জড়িত রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। ভারপ্রাপ্ত সচিব জানান, ঘটনাটি তদন্তে তিনিসহ দু’ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। অন্য সদস্য হলেন, কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে কমিটি তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়। তদন্তে উচ্চমান সহকারী মো. আনোয়ার হোসেনের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। ফলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।