ইসলামী আন্দোলন খুলনা মহানগরের গণ-ইফতার মাহফিল

খবর বিজ্ঞপ্তি : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর নেতৃবৃন্দ বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা ক্রমেই ফুটে উঠছে। সরকারের কোন সিদ্ধান্তই কাজে আসছে না। দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি চরম নৈরাজ্যকর রূপ ধারণ করেছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় মাত্র কয়েকটি গোষ্ঠী একচেটিয়া বাজার সিন্ডিকেট করে সবকিছুর মূল্য নিয়ন্ত্রণ করছে। সরকারের বজ্র আঁটুনি বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। তারা বলেন, দুর্নীতি-লুটপাট ও অর্থ পাচারের কারণে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় পৌঁছেছে। দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি চরম নৈরাজ্যকর রূপ ধারণ করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১৭ রমজান বিকেলে নগরীর রেলওয়ে স্টেশন মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘মাহে রমজানে বদর দিবস শীর্ষক আলোচনা সভা ও গণ-ইফতার মাহফিলে নগর নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সহ-সভাপতি মুফতী আমানুল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মুফতী ইমরান হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওঃ আব্দুল্লাহ ইমরান, নগর শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিব, মোঃ আবু গালিব, মাওলানা দ্বীন ইসলাম, মোঃ রেজাউল করিম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, আলহাজ্ব আবুল কাশেম, আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, মোঃ শাহিন হোসেন, মুফতী মঈনুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া, আলহাজ্ব সরোয়ার বন্ধ, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, মোল্লা রবিউল ইসলাম, এইচ এম আরিফুল ইসলাম, গাজী ফেরদাউস সুমন, গাজী মিজানুর রহমান, মাওঃ নাসিম উদ্দিন, এ্যাড. কামাল হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, মোঃ কবির হোসেন, ক্বারী জামাল হোসেন, শ্রমিক নেতা এস এম আবুল কালাম আজাদ, মোঃ ইব্রাহিম খান, যুবনেতা মুফতী আমিরুল ইসলাম, মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, আব্দুস সবুর, মোঃ নাজমুল ইসলাম, ছাত্রনেতা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাহাদী হাসান মুন্না, হাবিবুল্লাহ মেসবাহ প্রমুখ।
গণ ইফতার মাহফিলের খুলনার সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন। জেলা সভাপতি আব্দুল্লাহ ইমরান বলেন, মাহে রমজানে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরে ইফতার আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহরিতে গরুর গোশত নিয়ে বিদ্বেষ চর্চার সাম্প্রদায়িক ঘটনাসমূহ একই সুতোয় গাঁথা এবং ভিনদেশি সংস্কৃতির অংশ। এর ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। যা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দেশকে গভীর সঙ্কটে ফেলতে পারে। তিনি আরও বলেন, সরকারের শীর্ষ নেতারা নির্লজ্জভাবে ভারতের পক্ষে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে। তিনি বলেন, প্রতিবেশি রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সঙ্গে আমরা মর্যাদাপূর্ণ সুসম্পর্ক চাই। স্বাধীনতাযুদ্ধে তাদের অবদান আমরাই অবশ্যই কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতাকে কেউ অবজ্ঞা করলে, অমার্যাদা করলে আমরা তা মেনে নিতে পারি না। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ জাতীয় ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমাদেরকে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে।