যশোরে ট্রাক মালিক কর্তৃক চালককে অবৈধ আটক

লোহার চেন দিয়ে বেঁধে মারপিটের ঘটনায় মামলা
যশোর ব্যুরো : ট্রাকের মালিক ও তার ভাড়া করা ব্যক্তি এক ট্রাক ড্রাইভারকে ডেকে সদর উপজেলার রাজারহাট রেলক্রসিংয়ের পাশে বাংলাদেশ ট্রান্সপোর্ট ট্রাক মালিক শাহিনের অফিস রুমে চেয়ারের কাছে লোহার চেন দিয়ে বেঁধে অবৈধভাবে আটক করে মারপিটের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেন,যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার হাবাসপোল ( মোড়লপাড়া) গ্রামের আব্দুর মজিদ মোড়লের ছেলে ট্রাক ড্রাইভার বিল্লাল হোসেন। মামলায় আসামী করেন, সদর উপজেলার রামনগর (নামেজ সরদার স্কুলের পিছনে) মিন্টু ড্রাইভারের ছেলে সুমন ও ট্রাক মালিক রাজার হাট রেলক্রসিংয়ের পাশে বাংলাদেশ ট্রান্সপোর্ট এর মালিক শাহিনসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন।
এামলায় বাদি উল্লেখ করেন,তিনি একজন ট্রাক ড্রাইভার। প্রায় দুই মাস ধরে আসামী শাহিনের (ঢাকা মেট্টো-ট-১২-১৪৬৬) চালিয়ে বেড়ায়। প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৬ মার্চ বাদি ও তার হেলপার যশোরের কেশবপুর উপজেলার আলতাপোল গ্রামের সাগর (৩০) খালি ট্রাক নিয়ে পটুয়াখালী যাওয়ার পথে উজির থানা এলাকায় ট্রাকটি দূর্ঘটনায় কবলিত হয়। সেখানে হেলপার সাগর শারীরিকভাবে অসুস্থ্য হওয়ায় ট্রাক রেখে হেলপারকে নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক নিয়ে পরবর্তীতে কেশবপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে হেলপার কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। বাদি দূর্ঘটনার ব্যাপারে সুমনকে জানালে সুমন বাদিকে ট্রাক আনতে যেতে হবে বলে তাকে ডাকে। বাদি সুমনের কথা মতো গত ২৮ মার্চ সকাল ১১ টায় উক্ত ট্রাক মালিক শাহিনের অফিসে আসলে শাহিন ট্রাক ভাড়ার হিসাব চাই। হিসাব শেষে বাদি সুমনকে নগদ ৫৩ হাজার টাকা প্রদান করেন। বাদির নিকট আরো ২০ হাজার টাকা পাওনা থাকে। বাদি কিছুদিনের মধ্যে বাকি টাকা দিতে চাওয়ার সাথে সাথে শাহিনের নির্দেশে সুমনসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন বাদিকে অবৈধভাবে আটক করে রাখে চেয়ারের সাথে লোহার চেন দিয়ে বাদির দুই পায়ে ও পিঠে বেঁধে রেখে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ী কিল,ঘুষি ও লাথি মেওে মুখ,মাথা,বুকে ও পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে নীলা ফোলা রক্তাক্ত জমাট জখম করে। পরবর্তীতে ঘটনার বিষয় শুক্রবার ২৯ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার পর বাদি যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃনং ২২৭ এর সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা মিঠুকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানালে তিনিসহ থানা পুলিশের সহায়তায় উক্ত ঘটনাস্থল উপস্থিত হওয়ার পর আসামীরা বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ হুমকি ধামকি দিয়ে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। লোহার চেন বাঁধা অবস্থায় বাদিকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসান গ্রনহ করেন বাদি। তার পর মামলা করেন।