স্থানীয় সংবাদ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরমুজের পর এবার গো-মাংস বয়কটের দাবি

শেখ ফেরদৌস রহমান: মাহে রমজানে তরমুজের কেজি ১শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল। তবে হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজনরা তরমুজ কেনা থেকে নিজেদের বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিলে তরমুজের দাম কমতে শুরু করে। বর্তমানে যার কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে চলে এসেছে। এ দিকে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা প্রতি কেজি। যে কারণে গরুর মাংস দাম বৃদ্ধি থাকায় এবার তরমুজের মত একই ভাবে বয়কটের জন্য ডাক দিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে তরমুজের মত গরুর মাংসে এর প্রভাব ফেলতে পারবে কিনা? এ নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। হাসান জামিল নামে একজন তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক এ্যাকাউন্টে পোষ্ট করেছেন যে, তরমুজের ভাব বেড়েছিল। আমাদের আমজনতার বয়কটে দাম এখন হাতের নাগালে। এভাবে গরুর মাংস খাওয়া বাদ দিন। বয়কট করুন এক বা দুই মাস অথবা তিন মাস দেখবেন এই গরুর মাংস দাম হাতের নাগালে চলে আসবে। দাম বাড়িয়ে কদিন কাটা গরুর মাংস রাখবে ফ্রিজে। কম দামে ক্রেতা না কিনলে কতদিন চড়া দাম হাকাবে। ক্রেতা না কিনলে আবার কিসের সিন্ডিকেট। আমরা সব চাইলে পারি। লাগবে শুধু একতা। চলেন তরমুজের পর এবার গরুর মাংসের দাম কমাই। এভাবে তিনি তার ফেসবুকে গরুর কাটা মাংসের ছবি দিয়ে পোষ্ট শেয়ার করছেন । একই ভাবে হুমায়ুন নামের একজন তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে লিখছেন যতদিন পর্যন্ত গরুর মাংস ৫৫০ টাকা বা ৬শ টাকায় বিক্রি না হবে আমি ততদিন পর্যন্ত আর গরুর মাংস কিনবনা। এ বিষয়ে সচেতন নাগরিক মোঃ খালিদ হোসেন বলেন, মূলত তরমুজ একটি মৌসুমী ফল যা কিছু দিন পর এমনিতে পচন ধরে। আর গরুর মাংস হালাল মাংস। এগুলো বয়কট করা খুব বেশি স্বম্ভব না। এর কারণ বিভিন্ন সময়ে বিবাহ সহ সামাজিক নানা অনুষ্ঠানে প্রয়োজন হয়। এছাড়া রয়েছে ফ্রিজিং ব্যবস্থা। এভাবে কতদিন বা বয়কট করে থাকা যাবে। এর থেকে ভাল হবে সকলে যদি সুযোগ সামর্থ অনুযায়ী গরুর খামার তৈরি করা। এছাড়া সরকারী ভাবে আরও কঠোর নজরদারি করা। বর্তমানে ৭৫০ টাকা ১ কেজি মাংস তার মধ্যে ২শ থেকে ৩শ গ্রাম থাকে হাড়। তাহলে ক্রেতা প্রতি ১শ গ্রাম মাংস ১শ টাকা দিয়ে ক্রয় করছে। এর লাগাম টানতে হবে। এ বিষয়ে কথা হয় মাংস বিক্রেতা মোঃ ওয়াহিদ এর সাথে তিনি বলেন, গেল দুতিন মাস আগেও মাংস ৬৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে এখন ৭৫০ টাকা দরে প্রতি কেজি মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২৫ টাকা দরেও বিক্রি করা হচ্ছে। মুলত গরুর সংকট ছাড়া একের পর এক খামার বন্ধ হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ছে গো-খাদ্যের দাম ছাড়া এখন ভারত থেকে গরু আসছেনা। এর একটা প্রভাব আছে। যে কারণে গরুর মাংসের দাম বাড়ছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button