খুলনায় জুমাতুল বিদা’য় মুসল্লির ঢল

জুম্মার নামাযের পর দেশ ও জাতির মঙ্গল
কামনাসহ কবরবাসীর জন্য বিশেষ দোয়া
স্টাফ রিপোর্টার ঃ আরবিতে ‘বিদা’ শব্দের অর্থ শেষ। জুমাতুল বিদা মানে শেষ শুক্রবার বা শেষ জুমা। পবিত্র মাহে রমজানের শেষ জুমার দিনটি মুসলিম বিশ্বে জুমাতুল বিদা নামে পরিচিত। রমজানের শেষ জুম্মাবার মুসলিম উম্মাহর কাছে একটি বিশেষ দিন। জুমাতুল বিদা রোজাদারকে স্মরণ করিয়ে দেয়, রমজানের শেষ সময়ে এর চেয়ে ভালো কোনো দিন আর পাওয়া যাবে না। তাই কোরআন নাজিলের মাসের মর্যাদা ও বরকতের সঙ্গে জুমার মর্যাদা ও ফজিলতে মুমিন রোজাদারের আমল ও হৃদয় হোক আলোকিত। রমজান একটি মহিমান্বিত ও বরকতপূর্ণ মাস। এই মাস আমলের বসন্তকাল। এ মাসের প্রতিটি দিন বা রাতের পাশাপাশি প্রতিটি মুহুর্তের জন্য শুধু বান্দা আল্লাহর নৈকট্য, ক্ষমা ও নেয়ামত প্রাপ্তির আশা রোজাদার সারারাত নফল ইবাদত, কোরআন তেলোয়াত, তাহাজ্জুতের নামাজ, জিকিরে সহ বিবিধ ইবাদতের ব্যস্ত থাকে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) জুমাতুল বিদা’কে কেন্দ্র করে নগরীর নগরীর ডাকবাংলা, শিববাড়ি, সোনাডাঙ্গা, নিরালা, জিরোপয়েন্ট, রুপসা, বানিয়াখামার, সাচিবুনিয়া, জোড়াগেট, বয়রা, বৈকালি, বাস্তহারা, আলমনগর, খালিশপুর, নতুনরাস্তা, পাবলা, দৌলতপুর, দেয়ানা, আড়ংঘাটা, গাইকুড়, ইস্পাহী কোলনী, মধ্যডাঙ্গা, পালপাড়া, রেলিগেট, মানিকতলা, কালিবাড়ী, রানার মাঠ, তেলিগাতি, ফুলবাড়ীগেট, কুয়েট, শিরোমনি, আটরা, গিলাতলা, ডাক্তারবাড়ী, আলিম গেট, দামোদর, ফুলতলাসহ স্থানীয় এলাকার মসজিদ সমূহে মুসল্লীদের ঢল নামে। কোনো মসজিদ সমূহে জায়গা সংকলন না হওয়াতে রাস্তার উপর মুসল্লিগন তীব্র রোদ্দুর উপক্ষো করে নামাজ আদায় করে।
নামায শেষে কান্নারত কন্ঠে জীবনের গুনাহ হতে মুক্ত হয়ে নিষ্পাপ প্রাপ্ত, ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির, দেশ ও জাতির মঙ্গলকামনা, কবরবাসীদের জন্য মহার শ্রষ্টার নিকট বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়েছে করেন স্ব স্ব মসজিদের ঈমাম ও খতিবগণ। একই সাথে নামাজ শেষে সকল বয়সের মানুষ শিশু হতে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যস্ত তাদের প্রিয়জনের কথা স্বরণকরে নগরীর গুরুত্বপূর্ন করবস্থান সমূহ টুটপাড়া, গোয়ালাখালী সহ স্থানীয় এলাকার কবরখানাতে নিকটতম কবরবাসী আত্মীয় স্বজনদের জন্য দু’হাত তুলে কান্নারত অবস্থায় দোয়া করতে দেখা যায়। মুসল্লি সেলিম জানান, জুমাতুল বিদা, রমজানের শেষ শুক্রবার। জানিনা এরপর বছর আর রমজান ভাগ্যে মিলবে কিনা তাই, দ্রুত মসজিদে এসেছি। জুমা বিদায় অসংখ্যক মুসল্লি কান্নাকাটি করে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইবে, যদি তাদের উছিলায় আমি ও ক্ষমা পেয়ে যায়। গোয়ালখালি কবরস্থানে দেখা হয় মুসল্লি কামালের সাথে। তিনি জানান, আমার আব্বাকে এখানে দাফন করা হয়েছে, কয়েক বছর আগে। প্রতিবছর ঈদ, শবে বরাত, জুমাতুল বিদাসহ প্রতি শুক্রবার আসি কবর জিয়ারত করতে। জানিনা আমি নিজেও এর পরের রমজানে বাঁচে থাকবে কিনা। তাই বাবার জন্য শেষ জুম্মায় দোয়া করতে এলাম।