স্থানীয় সংবাদ

যশোরে স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে শেষ রক্ষা হয়নি স্বামীর

যশোর ব্যুরো ঃ যশোরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে শেষ রক্ষা হয়নি ঘাতক স্বামী মৃন্ময়ের। যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের হাতে আটক হয়েছে মৃন্ময় ভদ্র ওরফে নিলয় (৩০)। তিনি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার দামোদরকাটি গ্রামের মদন কুমার ভদ্রের ছেলে। এর আগে মৃন্ময় ভদ্র ওরফে নিলয় যশোর সদর উপজেলার চান্দুটিয়া গ্রামে বসবাস করতেন।
যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা ( ডিবি ) পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী স্বামীকে গ্রেফতার করে। বুধবার ২৪ এপ্রিল সকালে যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের বুকভরা বাওড়ের পাশ থেকে স্ত্রী মিতুর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। মিতু কলারোয়া উপজেলার ধানদিয়া কৃঞ্চনগর গ্রামের আজগর আলী সরদারের মেয়ে। স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সকালে শাড়ি পড়া এক নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। পরবর্তিতে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
ডিবির এসআই খান মাইদুল ইসলাম রাজীব সাংবাদিকদেও জানান, নিহত খাদিজা ওরফে মিতু মুলত মুসলমান সম্প্রদায়ের নারী। বাড়ি সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায়। খাদিজা থেকে সে নিজে ধর্মান্তরিত হয়ে হিন্দু ধর্মগ্রহণ করে। তার স্বামী মৃন্ময়ের সাথে যশোরে ঘুরতে আসে খাদিজা। এক পর্যায় তাকে ওই যুবক শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। বুধবার ২৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় হালসা গ্রাম থেকে ডিবির একটি টিম মৃন্ময়কে আটক করে। হত্যার কারণ হিসেবে খুনি মৃন্ময় ভদ্র ওরফে নিলয় পুলিশকে বলেন তার স্ত্রীর চরিত্র ভাল ছিল না। ড্যান্স করে বেড়াতো। তার কমপক্ষে ১০টি বিয়ে রয়েছে। প্রায় প্রায় ব্লাকমেইল করার কারণে স্ত্রীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন নিলয়। ২৩ এপ্রিল রাতে পাটকেলঘাটা থেকে তাকে যশোরে এনে বেড়ানোর কথা বলে রাত ১১টার দিকে বুকভরা বাওড় পাড়ে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। বুধবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ের সময় নিলয়কে অনুতপ্ত কিংবা অনুনোচনা করতে দেখা যায়নি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহতের স্বজনরা যশোরের উদ্দেশ্যে পাটকেলঘাটা থেকে রওনা হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মিতুর বোন আয়েশা বেগম। লাশের ময়না তদন্তর জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপাওে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানাগেছে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button