# ডিটারজেন্ট পাউডার, সাবান ও ভেজাল নুডুলস, সেমাইসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বহু পণ্য আশ্চর্যজনক কম দামে ভ্যানে, ইজিবাইকে হাক ডাক করে হচ্ছে বিক্রি, বিএসটিআই’র সিল দেখে কিনে সাধারণ মানুষ হচ্ছে প্রতারিত, বিএসটিআই বলছে এ ধরণের কোন কোম্পানীকে তারা খুলনায় অনুমোদন দেয়নি #
শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ খুলনায় এবার আর এক ধরণের প্রতারক চক্র বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা দিনের পর দিন খুলনাবাসীর সাথে করছে প্রতারণা। খুলনা জেলা ও উপজেলা নগরীর অলি গলিতে বিক্রি হচ্ছে নকল ডিটারজেন্ট পাউডার, সাবান ও খাদ্র সামগ্রী নুডুলস, সেমাইসহ হরেক রকম নকল পণ্য। মোড়ক দেখতে অবিকল আসল প্যাকেটের মোড়কের মত আর পাউডার দেখে বোঝার উপায় নেই এটা নকল। এছাড়া প্রতিটি মোড়কে দেয়া আছে বিএসটিআই সীল। দেখে সাধারণত বোঝার উপায় নেই যে এটি নকল ডিটারজেন্ট পাউডার। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে এসব পণ্য সামগ্রী বেশি দেখা যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায় নগরীর বিজিবি সেক্টর এলাকায় একটি ইজিবাইকে করে মাইকে প্রচার করছে সেমাই, প্যাকেটের গায়ে লেখা আছে ফাহিম সেমাই ২০ টাকা আবার দুই প্যাকেট এক সাথে ক্রয় করলে ৩০ টাকা। মাত্র ১০০ টাকার এসএ ডিটারজেন্ট পাউডার আধা কেজি ২৫ টাকা, খান লুডুস ১০ টাকা প্যাকেট, ফগ পারফিউম ৩০ টাকা প্রতি পিস, জুঁই সাবান ২৫ টাকা পিস, আর সাথে রয়েছে এলইডি লাইট এক জোড়া ৮০ টাকা। আর প্রচার মাইকের কাছে যেয়ে দেখা যায় একটি সাদা প্লাস্টিক বস্তায় আবার রয়েছে কাপড় কাচা সাবান। প্রশ্ন করতে বলে আমাদের বিএসটিআই অনুমোদন আছে। তবে এত কম মূল্য কেন নেয়া হচ্ছে? এমন প্রশ্নে বিক্রেতা বলেন, আমরা প্রচার করার জন্য এত কম দামে বিক্রি করছি। আর আমি কমিশনে বিক্রি করছি । এসব পণ্যের প্রধান কে এমন প্রশ্নে বলেন, এটা ডিলার মহাজন বলতে পারেন। আমি প্রতিদিন হাজিরা ভিত্তিক কর্মচারী, দিন শেষে আমাকে হিসাব বুঝিয়ে দিয়ে আসতে হয়। তবে এই ডিলার কোথায় তার মালামাল রাখে বা গুদামজাত করে। এমন প্রশ্নে বলেন, এটা দৌলতপুর এলাকায় পাবলা কারিকর পাড়ার পাশে আপনি খোঁজ নিতে পারেন তবে ডিলারের ফোন নাম্বর চাইলে দিতে অনীহা প্রকাশ করলেও এক পর্যায়ে ফোন নাস্বার পাওয়া যায় । এক পর্যায়ে মুঠো ফোনে ডিলার ফয়সালের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এসব কিছুর বিএসটিআই অনুমোদন আছে আমার পণ্য গুলো ভাল। আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাড়ী দরে এসব পণ্য ক্রয় করি। যেমন সেমাই তৈরি করে খালিশপুরে ভুইয়া ফ্লাউয়ার মিলস, সব পণ্য সঠিক বলে তিনি দাবি করেন। এবিষযে ভুক্তভোগী মো মোস্তাক বলেন, আমি কিছুদিন আগে তিন প্যাকেট ডিটারজেন্ট পাউডার ক্রয় করেছিলাম। তবে এসব পাউডার গুলো কাপড় পরিস্কার হয়না। পাশাপাশি পাউডার গুলো তেমন কোন ফ্যানা তৈরি হয়না। এগুলো সবই নকল । একই কথা বলেন ভুক্তভোগী গৃহিনী হেনা তিনি বলেন, আমি সেমাই আর লুডুস কিনেছিলাম তবে তেমন একটা ভালনা। আর খেতে কেমন যেন আটা বের হয় এসব লুডুস থেকে। তবে বিএসটিআই সীল কিভাবে পেল। এসব নকল ডিটারজেন্ট কোম্পানি এগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষর নজর দেয়া উচিত বলে মনে করেন সচেতন মহল। পাশাপাশি এসব কোম্পানি গুলো খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার উচিত। এবিষয়ে খুলনা (বিএসটিআই) সহকারী পরিচালক (সিএম) গোবিন্দ কুমার ঘোষ বলেন, খুলনায় এধরনে প্রতিষ্ঠান বা কোন কোম্পানিকে আমরা অনুমোদন দেইনি। তবে এসব নকল কারখানা বা কোথায় তৈরি হচ্ছে এ বিষয়ে জানা থাকলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন । আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।