লবণচরার আশ্চার্য প্রফুল্ল চন্দ্র হাই স্কুলে অবৈধভাবে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের চেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টারঃ লবণচরা এলাকার আশ্চার্য প্রফুল্ল চন্দ্র মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ। নিজের পকেটের লোককে কমিটিতে স্থান করিয়ে নিতে নির্বাচনী কার্যক্রম অনেকটা গোপনে সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্টরা। অবিলম্বে এ নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিল করে নতুন করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর দাবিতে স্কুলের অভিভাবকরা জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। গত ৫ জুন অভিভাবক মনির হোসেন, গোলাম রব্বানী, শাহিন সরদারসহ ২৪ জন অভিভাবক স্বাক্ষরিত অভিযোগ জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে জমা দেয়া হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অত্র স্কুলের নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ গত ২৮ জানুয়ারী’২৪ শেষ হয়। কিছু দিন আগে স্কুলের এডহক কমিটি গঠন করা হয়। নিয়ম অনুসারে নিয়মিত কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিল আফরোজ লাভলী তা করার ক্ষেত্রে গোপনীয়তা করছেন। নির্বাচনের সকল তথ্য অভিভাবকদের জানানোর কথা থাকলেও তিনি তা জানাননি। নির্বাচনের তফশিলের বা পত্রিকার কোন নোটিশ না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক নিজের মনোনীত কিছু ব্যক্তিদের দিয়ে স্কুলের বাইরে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে রাখেন। তফশিল অনুযায়ী মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। যা অভিভাবক ও শিক্ষকবৃন্দ অবগত নন। নিয়ম অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের সকল তথ্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দকে নোটিশ আকারে জানাবেন। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তা না করে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে নির্বাচনের সকল তথ্য গোপন করছেন। তিনি এসব কর্মকান্ড করে স্কুলে অবৈধ কমিটি গঠনের চেষ্টা করছেন। তিনি মনির হোসেন নামের একজন অভিভাবকের নিকট থেকে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে স্বাক্ষর আদায় করেন। মনির হোসেন নিজেই এমনই অভিযোগ লিখে বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করেন। তিনি ওই অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ৪ জুন স্কুল সিমানার বাইরে লবণচরা থানাধীন ৩১নং ওয়ার্ড মোল্লাপাড়া নামক স্থানে আমাকে মুঠোফোনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসতে বলেন। আমি তাৎক্ষণিক তার সম্মানে দ্রুত ওই স্থানে উপস্থিত হই। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগ্ইে একটি কাগজ বের করে আমাকে স্বাক্ষর করতে বলেন। আমি জানি না তিনি কেন আমাকে স্বাক্ষর করিয়েছেন। এমতাবস্থায় স্কুল পরিচালনার অবৈধ কমিটি গঠন বন্ধকরণের জন্য দাবি জানাচ্ছি।” স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিল আফরোজ লাভলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি নির্বাচনী তফশিল স্কুলের নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়েছি। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছি (দৈনিক তথ্য)। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জানিয়েছি। সকল নিয়ম মেনে কাজ করে চলেছি। এখানে কোন অনিয়ম হয়নি। তবে যারা এসব অনিয়মের কথা বলছে তারা স্কুল ভবনটি এমনভাবে করছে যা আজ হেলে পড়ার আতংকে আছি আমরা। তারা যদি বেশী বাড়াবাড়ি করে তবে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেন এই শিক্ষক।