স্থানীয় সংবাদ

বিদেশি পণ্যের দখলে নগরীর ঈদ-বাজার

কোন ঠাসা দেশীয় পণ্য

শেখ ফেরদৌস রহমান : ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে নগরীর বিপনী বিতান ও শপিংমলগুলো ভারতীয়, চায়না ও থাইল্যান্ড’র পণ্যের দখলে। আর এতে করে কোনঠাসা হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ছে দেশীয় পণ্য।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলো শাড়ী, রেডিমেড কাপড়ের এবং বিদেশী পণ্যে ঠাঁসা। ক্রেতা আসলে দোকানীরা সেগুলোই তাদের কাছে তুলে ধরছেন। শুধু তাই নয়- ভারতীয় পণ্যের মধ্যে রয়েছে নিম,পন্ডস, ফেসওয়াস, শাড়ি,থ্রি পিস, পঞ্জাবি, টি-শার্ট, জুতা-স্যান্ডেলও।পাশাপাশি চায়না, জুয়েরারি, কসমেটিকস, প্রসাধনি, নেলপলিস, লিপস্টিক, ফেস ওয়েল, ফ্রেঞ্জ শিপন, শিল্ক কোটা, সামুজ, সার্টেন শিল্ক, খাড্ডি কাথান, ফেয়ার ওয়েল, জুতাও। এমনকি খাবার চকলেট, সিগারেট থেকে শুরু করে বিভিন্ন এমিটিশন, জুয়েলারি পর্যন্ত রয়েছে এ তালিকায়। সরেজমিনে নগরীরর বিভিন্ন বিপনন কেন্দ্রগুলোতে দেখা গেছে এ চিত্র।
এ বিষয়ে নিউ মার্কেট এলাকার ভ্যারাইটিজ স্টোরের মালিক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার কাছে সব ধরনের পোশাক আছে। ভারতীয় শাড়ি, থ্রী পিসসহ পাঞ্জাবি আইটেম আছে। তবে অধিকাংশ এসব ভারতীয় পোশাক বৈধ পথে আনা হয়। মূলত: অনেক আত্মীয় স্বজন আছে য্রাা ভারতে চিকিৎসা নিতে যায়- তাদের মাধ্যম দিয়ে আনা হয়। তবে এ বছর পোশাকের দোকানগুলোতে নেই ক্রেতাদের উপচে পড়া পড়া ভিড়, তেমনটি বেচা-বিক্রিও হচ্ছে না। এছাড়া সব সময়ে ক্রেতাদের মধ্যে ভারতীয় ও থাইল্যান্ডের পণ্যের প্রতি ঝোঁক একটু বেশি দেখা যায়।
একই কথা বলেন রাজশাহী সিল্ক হাউজের এক বিক্রেতা। তিনি বলেন, ক্রেতাদের সব সময়ে বিদেশী পণ্যের প্রতি আগ্রহ বেশি। তবে এবারের ঈদে ক্রেতার দেখা পাওয়া যাচ্ছেনা। এছাড়া দেশীয় তৈরি গার্মেন্টস আইটেমের পোশাক, জিন্স, জমাদানির প্রতিও ক্রেতাদের আগ্রহ আছে।
এ বিষয়ে ক্রেতা নাজমা বেগম বলেন, দেশীয় পণ্যের প্রতি সবার কদর থাকা উচিত। তবে, মার্কেটগুলোতে বিদেশি পণ্য থাকায় আর দাম বেশি হলেও সকলের ঝোঁক দেশের বাইরের পণ্যের প্রতি। এক্ষত্রে ভারতীয় ও চায়না পণ্যগুলোর অধিকাংশ নি¤œ মানের থাকে। প্রাথমিক অবস্থায় হাতে নিয়ে দেখলে মনে হয় ভাল টেকসই। এরপর কয়েকবার ধোলাই করলে বোঝা যায় এসব পণ্যের মান নি¤œ। আমরা সকলে এ বিষয়ে যদি সচেতন হয়ে থাকি, আমাদের দেশের পণ্যের প্রতি যদি সবার টান থাকে- যে দেশের টাকা দেশে থাকবে। আমরা কেন আমাদের টাকা অন্য দেশে দিব- এমনটি যদি হয় তাহলে বাইরের পণ্য টিকবেনা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button