স্থানীয় সংবাদ

যশোরে শিক্ষার্থী অপহরনের ২৫দিন পর উদ্ধার : অপহরণকারী গ্রেফতার

যশোর ব্যুরো ঃ টিকটকের মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে মোবাইল নাম্বার দিতে বাধ্য করে এক স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীকে প্রথমে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যথ্য হয়ে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় যশোর কোতয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। গত ১৫ জুন রাতে মামলাটি করেন অপহৃতার মা মাগুরা জেলার সদর থানার বেরইল পলিতা বর্তমানে যশোর সদর থানার নওয়াপাড়ার আশরাফ মিয়ার স্ত্রী ও জামাল মোল্যার মেয়ে মোছাঃ সোনালী পারভীন। মামলায় আসামী করেন, নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থানার ঘাই কুড়িবর গ্রামের মোকলেছুর রহমানের ছেলে লিক্সসন। পুলিশ অপহরনের ২৫দিন পর অপহৃতাকে উদ্ধার ও অপহরণকারী লিক্সসনকে গ্রেফতার করেছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,তার মেয়ে আরিফা (১৬) ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী। আসামী লিক্সসন এর সাথে বিগত ৫ মাস পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ টিকটকে বাদির মেয়ের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে আসামী বাধ্য করে বাদির মেয়ের নিকট হতে মোবাইল নাম্বার নেয়। এক পর্যায় আসামী বাদির মেয়েকে মোবাইলে কল দিয়ে প্রেমের প্রস্তাবসহ কু-প্রস্তুাব দিতে থাকে। প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ক্ষতি করার জন্য প্রায়ই সময় ভয়ভীতি প্রদর্শন করিতো। গত ১ মে বাদির মেয়ে তার নানা বাড়ি যশোর সদর থানার নওয়াপাড়া গ্রামে বেড়াতে আসে। পরবর্তীতে গত ২১ মে আসামী বাদির মেয়েকে তার নানা বাড়ি হতে বিকেল ৩ টায় প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।তখন বাদির মাসহ বাদির পরিবারের লোকজন আশপাশে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বাদির মা মোবাইল ফোনে বাদিকে জানালে বাদিসহ তার পরিবারের লোকজন নিকট আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে গত ১৪ জুন কোতয়ালি থানায় সাধারণ ডাইরী করেন। যার নাম্বার ৯৪০। সাধারণ ডাইরীর ভিত্তিতে কোতয়ালি থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সন্ধান পেয়ে বাদিকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ১৫ জুন ভোর রাত ৩ টার সময় নেত্রকোনা জেলার উল্লেখিথ থানার গ্রামে আসামী লিক্সসনের বাড়ি হতে অপহৃতা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী লিক্সসনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদেরকে কোতয়ালি থানায় এনে আদালতে সোপর্দ করেন। অপহৃতা আরিফার জবানবন্দি আদালতে সম্পন্ন হয়েছে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button