স্থানীয় সংবাদ

তালার ধুলন্ডা গ্রামে পানি নিষ্কাসনের খাল দখল করে বাড়ি নির্মানে জনমনে ক্ষোভ

# জলবদ্ধতায় দু’টি গ্রামের কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা #

তালা প্রতিনিধি ঃ তালার ধুলন্ডা গ্রামে প্রায় ৫০ বছরের ব্যবহৃত পানি নিস্কাসনের সরকারি ছোট খাল (নালা) দখল করে বাড়ি নির্মান করা হয়েছে। বালি ও মাটি দিয়ে সরকারি জমির নালাটি ভরাট করার সময় এলাকার লোকজন বাঁধা দিলেও তা উপেক্ষা করে উল্টো হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। নালাটি ভরাট করায় চলতি বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি নিস্কাসন হতে না পেরে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার আশংকা দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, তালা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের মাগুরা-জেঠুয়া সড়কের ধুলন্ডা গ্রামের মতিয়ার শেখ’র বাড়ির পাশের মোড় থেকে ধুলন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অভিমুখে ইটের রাস্তার পশ্চিম পাশ দিয়ে সরকারি জমির উপর একটি নালা রয়েছে। প্রায় ৫০ বছর ধরে ধুলন্ডা ও মাগুরা বারুইপাড়া এলাকার বর্ষার পানি এই নালাটির মাধ্যমে নুরাজখালী বিল হয়ে কপোতাক্ষ নদের সংযোগ খাল দিয়ে নদীতে নিস্কাসন হয়। ফলে এলাকায় অদ্যবদী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু একই গ্রামের কওছার শেখ’র ছেলে মতিয়ার শেখ তার জমিতে পাকা বাড়ি করার সময় বাড়ির সীমানা বরাবার ওই নালাটি মাটি ও বালি দিয়ে ভরাট করে পুরো জমি দখল করে নিয়েছে। এসময় এলাকার লোকজন বাঁধা দিলেও তিনি তা’ উপক্ষো করে বালি ভরাট করে এবং বাঁধা প্রদানকারী গ্রামের একাধিক ব্যক্তিকে হুমকি প্রদান করে। বর্তমানে সরকারি নালাটি পুরোপুরি বালি-মাটি দিয়ে ভরাট করে দখল করে রেখেছে মতিয়ার শেখ। এরফলে চলমান বর্ষায় এলাকার পানি নিস্কাসন হতে না পেরে যত্রতত্র পানি জমে রয়েছে। এই পানি পচে সেখানে এডিস মশার জন্ম সহ নানান জীবানু সৃষ্টির আশংকায় মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে। এব্যপারে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট মতিয়ার শেখ জানান, বিভিন্ন লোক এই নালার অনেক স্থান ভরাট করে দখল করে নিয়েছে। তাই আমিও আমার রেকর্ডীয় জমি সহ জমীর সীমানা দিয়ে নালার ২/৩ ফুট মতো জমি বালি দিয়ে ভরাট করেছি। সরকার বা প্রশাসন অন্য স্থানগুলো উদ্ধার করে আমাকে বললে আমিও নালার সরকারি জমি ছেড়ে দিবো। কিন্তু তার এই বক্তব্য অবিশ^াস করে এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, বালি ও মাটি দিয়ে যেভাবে সরকারি নালা ভরাট করা হয়েছে তাতে সে ওই নালাটি উন্মুক্ত করে দিবে তা বিশ^াস করা যায়না। লোকজন আশংকা ব্যক্ত করে জানান, চলমান বর্ষা মৌসুমে ভারি বৃষ্টি হলে ধুলন্ডা ও বারুইপাড়া গ্রামের প্রায় ৩শ পরিবার সহ দু’টি গ্রামের শত শত বিঘা পান বরজ, ধান, আখ ও শব্জি ক্ষেত প্লাবিত হয়ে কোটি টাকার উপরে ক্ষয়-ক্ষতি হবে। এছাড়া ধুলন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ভোট কেন্দ্র জলাবদ্ধ হয়ে বিদ্যালয়ের লেখাপড়া বন্ধ হওয়া সহ ভোটের সময় ভোট গ্রহন কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্থ হবে। এলাকার পানি নিস্কাসনের এই একটি মাত্র পথ দখল ও ভরাট হওয়ায় এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসী অবিলম্বে পানি নিস্কাসনের নালাটি উদ্ধার সহ উন্মুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button