ছাত্র-জনতার বিজয়কে নস্যাৎ করতে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে: এড. মনা

# ৩১টি ওয়ার্ড ৩ ইউনিয়নের সুধি সমাবেশের সিদ্ধান্ত # ১৪জনকে শোকজ #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ আজ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হয়েছে। দেশের বীর ছাত্র ও জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার সরকার দেশ থেকে পালিয়েছে উল্লেখ করে খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, ছাত্র-জনতার বিজয়কে নস্যাৎ করার জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। গোটা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা যারপর নাই ষড়যন্ত্র করছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগের কিছু দুস্কৃতিকারী নিজেদের রক্ষা করতে ‘নব্য’ বিএনপি হতে চেষ্টা করছেন। রবিবার (১১ আগস্ট) মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও থানা বিএনপির আহবায়ক সদস্য সচিবদের যৌথ মিটিং এ সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের কোন পর্যায়ের নেতাকর্মী যাতে দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ করতে না পাওে সেজন্য সকলকে সর্তক থাকার আহবান জানিয়েছেন।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, স্বৈরাচার সরকারের জুলুম নির্যাতন থেকে বাংলাদেশ আজ মুক্ত হয়েছে। দেশের জনগণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষের যে প্রত্যাশা, যে চাওয়া সেটা পুরণে বিএনপি নেতাকর্মীরা আজ বদ্ধপরিকর। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ পালনের জন্য নেতাকর্মূীদেও প্রতি আহবান জানান। সভায় বক্তব্য রাখেন, স. ম. আ. রহমান, বেগম রেহেনা ঈসা, কাজী মাহমুদ আলী, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদি ও হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, কে এম হুমায়ুন কবীর (ভিপি হুমায়ুন), হাফিজুর রহমান মনি, জাহিদুল ইসলাম, মুর্শিদ কামাল, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সাজ্জাদ আহমেদ পরাগ, হাবিবুর রহমান বিশ^াস, শেখ ইমাম হোসেন প্রমূখ।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মাফিয়া হাসিনা সরকারের পতনের পরবর্তী সময়ে খুলনা নগরীতে সংগঠিত নিন্দনীয় ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জনমনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে খুলনা নগরীর ৩১টি ওয়ার্ড ও ৩ ইউনিয়নে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা নেতৃবৃন্দ ( আওয়ামী লীগ বাদে), সুধীসমাজের সাথে সুধিসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভা থেকে নগরীর কোন ওয়ার্ডে পরাজিত শক্তির কারো সাথে সখ্যতা বা দলে যোগদানের কোন প্রকার কর্মকান্ড করা যাবে না বলে হুশিয়ারি প্রদান করা হয়। সভা থেকে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপির ভাবমুর্তিকে জনমনে আরো উজ্জল করার জন্য দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার নির্দেশ প্রধান করা হয়। সভায় থেকে সুধিসমাবেশ সফল করতে চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী ও হাসানুর রশিদ মিরাজকে সমন্বয়কারীর দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান: নৈতিক স্খলজনিত অপরাধের সুর্নিদিষ্ট অভিযোগ পাওয়ায় মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ১৪ নেতাকে কারণদর্শানো নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। রবিবার (১১ আগস্ট) প্রদত্ত কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দিতে হবে বলে নোটিশে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।