খুলনায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের যোদ্ধা শিমুলের রাত কাটছে আতঙ্কে

# দুর্বৃত্তদের হামলায় শিকার শিমুল, মা,বাবাসহ পরিবারের সাত সদস্য #
স্টাফ রিপোর্টারঃ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সামনের সারির যোদ্ধা খুলনা সরকারি পলিটেকনিক কলেজের পাওয়ার ডির্পাটমেন্টের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান শিমুলকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে দৈনিক প্রবাহের খানজাহানআলী থানা প্রতিনিধি সাংবাদিক এম এ শফি, শিমুলের পিতা মোঃ মহিউদ্দিন সরদার(৫০), মাতা খাদিজা বেগম(৪৫), শিমুলের দাদী মনোয়ারা বেগম(৭০), শিমুলের চাচা সাহাবুদ্দিন(৪২) ও সিরাজ উদ্দিন(৩৮)। হামলাকারীরা শিমুলের বাসার গেটে ভাংচুর করে হুমকি দিয়ে চলে। গত ৫ আগস্ট এ ঘটনা ঘটে। মনোয়ারা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, হামলাকারীরা সমাজে অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তারা মাদক বিক্রি ও সেবনের সাথে জড়িত। তার নাতী ছাত্র আন্দোলন করলেও দুর্বৃতরা তাকেও রেহাই দেয়নি। সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছাত্র আন্দোলনকারী নেতা শিমুল। তাদের রাত এখনও আতংকের মধ্যে কাটে বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় খানজাহানআলী থানা বিএনপির আহবায়ক কাজী মিজানুর রহমান হামলায় শিকার শিমুলের পরিবারকে দেখতে এসে বলেন, হামলার সাথে জড়িত চিহিৃত সন্ত্রাসীরা কেহ বিএনপি বা এর অঙ্গসহযোগি সংগঠনের সাথে জড়িত নয়। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস প্রদান করেন। স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন এবং শেখ হাসিনার পলায়নের সাথে সাথে আড়ংঘাটা থানাধিন খানাবাড়ী এলাকার চিহিৃত মাদক সেবনকারী এক সময়ে আওয়ামী লীগের এক নেতার ডান হাত হিসাবে পরিচিত মুক্তার হোসেন মুক্তা, মোঃ হাসিবুর রহমান হাসিব ও হালিমের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া রামদা, লাঠি সোঠা নিয়ে বিকাল সাড়ে ৫টায় খানাবাড়ীস্থ শিমুল ও সাংবাদিক এম এ শফির বাসভবনে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা তাদের বাসার গেট ভাংচুর করে। শিমুল ও শফি বেরিয়ে আসলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় । খানাবাড়ী গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র হাসিবুল ও মৃত ইমান আলীর পুত্র মুক্তারের হাতে থাকা রামদা দিয়ে শিমুলের মাথায় কোপ দেয় এবং শফির হাতে আঘাত প্রাপ্ত হয়। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে তাদের ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদিকে খানজাহান আলী থানা বিএনপির আহবায়ক কাজী মিজানুর রহমানসহ বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ গত ৮ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদেরকে দেখতে যান। তিনি সাংবাদিক শফি ও কোটা আন্দোলনের যোদ্ধা শিমুল ও তার পরিবারের উপর হামলাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির আশ^াস দেন। এছাড়া খানজাহান আলী থানা সাংবাদিক ইউনিটের নেতৃবৃন্দ, দৈনিক প্রবাহের সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ তাদেরকে দেখতে আসেন। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা কুয়েটের শিক্ষার্থী জয় বৈদ্য বলেন, শিমুল ছাত্র আন্দোলনের সাথে ছিল, এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। তিনিসহ তার পরিবার দুর্বৃত্তদের হামলায় শিকার হবে, তাও আবার আন্দোলনে বিজয়ের পর। এটা মেনে নেয়া যায় না। বিষয়টি তারা গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে এই ছাত্র নেতা জানান।