বানভাসি মানুষের পাশে সর্বস্তরের মানুষ

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ নাজমা বেগম স্বামী নেই সংসার চালাতে মানুষের বাড়ী বাড়ী যেয়ে কাজ করে চলে তার জীবন জীবিকা। তারপরও হাতে একশত টাকার একটি নোট নিয়ে ছুঠছেন বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করবেন। এমন ইচ্ছা নিয়ে বলছে ভাই এই টাকা আমি কার কাছে দিব যে বানভাসি মানুষেরা খাবার পাবে। এরকম হাজারো নাজমা সামর্থ নেই অথচ আছে দেশের মানুষের প্রতি ভালবাসা দেশের বানভাসি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মূলতঃ গেল কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টি ও উজানে আক্সিমিক ভারতের অভ্যন্তরে ত্রিপুরা ডম্বুর গেট খুলে দেয়াতে ত্রিপুরা থেকে নেমে আসে পানি বন্যাদুর্গত হয়েছে দেশের ১২টি জেলা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ। এছাড়া শিশু কিশোর, সামর্থহীন মানুষেরা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনও সরকারী বিভিন্ন দপ্তর সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনি, বিমান বাহিনী বিজিবি, পুলিশসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপসনালায় গুলোতে মানুষ বানভাসিদের খাদ্য, ওষুধ পোশাকসহ মৌলিক চাহিদা পুরুন করতে এগিয়ে আসছে। এছাড়া সড়কের পাশে সরকারী দপ্তরে কোর্ট খেয়া ঘাট সহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা সহ নানা শ্রেণীর মানূষ বানভাসিদের সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছন। পাশাপাশি ধর্মীয় উপসনালয় গুলোতে বানভাসি মানুষদের সাহায্যের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কথা হয় শিক্ষার্থী আবু হুরায়রা এর সাথে তিনি বলেন, পোশাক থেকে শুরু করে শুকনা খাবার স্যালাইন ওষুধ সহ যে যা পারছেনা আমাদের দিচ্ছে কারোর কাছে একবার থেকে দুই বার চাইতে হচ্ছেনা। এমন ভালবাসা আর যদি সবই কেত্রে আমরা বানভাসি মানুষের পাশে দাড়িয়ে তাদের সাহায্য করতে পারি। আমার দেশ বাংলাদেশ আমরা কখনও পরাজিত হয়নি। আর সামনের দিন গুলোতেও পরাজিত হবোনা। এর কারণ আমরা বাঙ্গালি আমরা সবাই সবার জন্য পাশে থাকবো। এভাবে আমরা সকলে মিলে বানভাসিদের ত্রান সহায়তা করছি। এছাড়া দেখা যায় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের সাধারণ মাটির ব্যাংেকে গচ্ছিত টাকা তুলে দিচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ্য বানভাসি মানুষের কাছে।এছাড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও খুলনা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা একত্রে নগরীর শিববাড়ীরর মো ময়লাপোতা তে আজ এবং আগামী কাল ২৭শে আগস্টর সকাল দশটা থেকে রাত্র আটটা পযন্ত গণযাত্রা কর্মসূচি গ্রহণ করবে। এছাড়াও পানি ও পরিশোধক পানি এবং পানি পরিশোধক ট্যাবলেট। স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী স্যালাইন, মৌলিক ঔষধ, প্রাথমিক চিকিৎসা কিট, স্যানিটারি প্যাড, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার। বাচ্চাদের জন্য সামগ্রী শিশুর খাবার, দুধের পাউডার, বাচ্চাদের পোশাক, ডায়াপার।পরিধান সামগ্রী গরম জামা, রেইনকোট, লাইফ জ্যাকেট উপরোক্ত পণ্য গুলো সামর্থবানদের সহযোগীতা করার জন্য অনুরোধ করা হযেছে।


