স্থানীয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ইসলামাবাদ কলেজিয়েট স্কুলের দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষকের পদত্যাগ

# লাখ লাখ টাকা আতœসাৎসহ নানা অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ আবু দারদা আরিফ বিল্লাহ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। ২৫ আগস্ট তিনি পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেন। আজ মঙ্গলবার কেসিসির প্রশাসকের নিকট পদত্যাগ পত্র জমা দেয়া হবে বলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ ইমরুল কায়েস এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে। অধ্যক্ষ অপসারণ ও তার দুর্নীতির বিচারের দাবিতে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করে খুলনা সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত ইসলামাবাদ কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থীরা গত ১৯ আগস্ট থেকে। ওই দিন বেলা ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা প্রেস ব্রিফিং করে অধ্যক্ষের দুর্নীতি তুলে ধরে। এ সময় তারা অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও দুর্নীতির বিচারের দাবি করে। অধ্যক্ষ পদত্যাগ না করে আতœগোপন করেন। নগরীর বসুপাড়াস্থ ইসলামাবাদ কলেজিয়েট স্কুলের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তানভীর মাহতাব শশী জানান, অধ্যক্ষ একজন দুর্নীতিবাজ। কলেজের শিক্ষার মান না বাড়িয়ে আ’লীগ নেতা ও মেয়রের চাটুকতায় ছিলেন বেশী ব্যস্ত। এ কলেজে বাংলা ও ইংলিশ ভার্সন থাকলেও লেখাপড়া ও স্কুলের পাঠ দানের পরিবেশ মোটের ভাল ছিল না। শিক্ষার্থীদের কোচিং করা ছিল বাধ্যতামূলক। বোর্ডের প্রশ্নপত্রে পরিক্ষা না নিয়ে নিজস্ব করা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিত। এতে করে যারা শিক্ষকদের কাছে কোচিং না করতো তাদের ভাল ফলাফল করা কস্টকর হতো বলে অভিভাবক রোকসানা ইসলাম ও মাহমুদা জানান। তারা জানান, অফিস সহকারি শামীম হোসেন উজ্জল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে খুবই খারাপ আচরণ করতেন। ওই দিন তাকে আন্দোলনকারীরা লাঞ্চিত করে। অধ্যক্ষ কর্তৃক কলেজের আতœসাৎকৃত ২৭ লাখ টাকা ফেরৎ দেয়ার দাবি তোলে শিক্ষার্থীরা। তবে দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ আবু দারদা আরিফ বিল্লাহ পদত্যাগ না করায় কেসিসি কর্তৃপক্ষ তাকে সাসপেন্ড করে। ওই পদে দায়িত্ব দেয়া হয় ভাইস প্রিন্সিপাল ইমরুল কায়েসকে। অবশেষে তিনি পদত্যাগ করায় শিক্ষার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। কেসিসির শিক্ষা ও সাংস্কৃতি অফিসার এসকেএম তাছাদুজ্জামান বলেন, অত্র স্কুলের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ফিস নেয়ার অভিযোগ করেছে। আর শিক্ষকরা অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্ত করার জন্য তাদের কাছ থেকে অধ্যক্ষ টাকা নিয়েছে। এসব বিষয়ে সামনে রেখে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। আন্দোলনের মুখে অধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা খুশি। শিক্ষার্থীরা জানান, অফিস সহকারী উজ্জল বিগত দিনে যা করেছে দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের নির্দেশনায় করেছে। তিনি মুচলেকা দিয়েছেন ভবিষ্যতে আর কখনও কারো সাথে খারাপ আচরণ করবেন না। তারপরে শিক্ষার্থীরা তাকে ক্ষমা করে দিয়ে আপাতত তিনি স্কুলে অফিস করছেন বলে তারা জানান।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button