খালিশপুরে বিএনপির সমাবেশে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০ ঃ সমাবেশ পন্ড
৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আজকের সমাবেশ স্থগিত
স্টাফ রিপোর্টার ঃ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নগরীর খালিশপুরে বিএনপির সমাবেশে দু’ গ্রুপের সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’ গ্রুপের অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় পিপলস গোল চত্বরে সমাবেশ স্থলে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আরিফ(৪০), যুগ্ম আহবায়ক সরোয়ার(৪৮), ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য নাজমুল হাসান বাবু(৪২), মোয়াজ্জেম হোসেন অপু(৩০), ১৫নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সোহেল রানা(৩২), জাহাঙ্গীর মোল্লা(৩১), বিপ্লব(২৯), শরিফুল ইসলাম(৩৮), রানা সরদার(২৩), সোহেল (২৫),ইয়াসিন(২৮), মোস্তফা(৩৫), হোসেন(১৬),নুরুজ্জামান, রেজাউল করিম স্বপন, ফকির শহিদুলসহ ২০ জন আহত হয়। এদেরকে খালিশপুর ক্লিনিকে ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী শুক্রবার বিকেলে ৮ ও ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সুধী সমাবেশ ছিল পিপলস গোল চত্বরে। যথারীতি সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে যোগদান করার জন্য বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিল আসতে থাকে। যার নেতৃত্বে মিছিল আসে তারই নাম বলে উৎসাহিত করে উপস্থাপক। অন্য দিকে সমাবেশ মঞ্চে বক্তৃতা চলতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বক্তৃতা শুরু করেন। এমন সময় ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সরোয়ারের নেতৃত্বে একটি মিছিল সমাবেশ স্থলে আসে। মিছিলে নেতৃত্বদানকারী অন্যদের নাম বললেও উপস্থাপক সরোয়ারের নাম বলেনি। এতে করে সরোয়ার ও তার লোকজন ক্ষুদ্ধ হন। সরোয়ার নাম না বলার বিষয়টি শুনতে মঞ্চে গেলে উপস্থাপক বলেন, বাবু তাকে নাম বলতে নিষেধ করেছে। এ কথা শুনে সরোয়ার ও তার লোকজন চিৎকার করে প্রতিবাদ করে। মঞ্চের সামনে থাকা বাবু ও তার লোকজন পাল্টা জবাব দেয়। শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি। পন্ড হয়ে যায় সুধী সমাবেশ। নিরিহ নেতা-কর্মীরা দৌড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। উভয় গ্রুপের মধ্যে সমান তালে চলে হাতাহাতি ও কিল ঘুষি। পাশেই খালিশপুর থানা পুলিশ অবস্থান করলেও তারা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালান করে। পরে আহতদের হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। যাওয়ার সময় ফায়ার সার্ভিসের সামনে আরেক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে আজ শনিবার বিকেলে ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সুধী সমাবেশ থানা বিএনপি স্থগিত করেছে বলে থানা বিএনপির আহবায়ক শেখ জাহিদুল ইসলাম জানান। খালিশপুর থানা ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটা বিএনপির নিজেদের বিষয়। সে জন্য পুলিশ গোলমাল ঠেকাতে যেতে পারেনি। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছি বলে শুনেছি তবে কোন পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেয়নি বলে তিনি জানান। তবে সাধারণ জনগণ বিষয়টি ভালভাবে নেয়নি বলে প্রত্যকক্ষদর্শীরা জানান। ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য নাজমুল হাসান বাবু বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে সমাবেশ পন্ড করার জন্য আ’লীগের লোকজন নিয়ে সরোয়ার, মাসুদ, স্বপন ও তার লোকজন এ সভা মঞ্চে হামলা করেছে। এ ব্যাপারে থানা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
বিএনপির কর্মী রেজাউল করিম স্বপন বলেন, আমাদের মিছিলটা ছিল সুধীদের নিয়ে কিন্তু সেই সুধীদের সমাবেশ স্থলে ঢোকার সময় গুটি বাবু, জাহাঙ্গীর ও তার লোকজন বাঁধা সৃষ্টি করে। এরপরই উভয় পক্ষের ভিতর হাতাহাতি শুরু হয়।