যশোরে ১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে নারী ওষুধ ব্যবসায়ীকে পালাক্রমে ধর্ষণ
# ঘটনার সাড়ে চার মাস পর আদালতে মামলা #
যশোর ব্যুরো ঃ যশোরে ১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে নারী ওষুধ ব্যবসায়ীকে পালাক্রমে ধর্ষণ ঘটনার সাড়ে চার মাস পরে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার যশোর শহরের ঘোপ এলাকার বাসিন্দা ওই নারী চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) গোলাম কবীর মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ। আসামিরা হলো, রাজবাড়ির পাংশা উপজেলার মেঘনা খামারপাড়া গ্রামের মুন্নাফ সরদারের ছেলে ও যশোর শহরের খড়কির হাবিবুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া ইউনুস আলী (৩২), যশোর শহরের ঘোপ ধানপট্টির জলিল মিয়ার ছেলে শরিফুল ইসলাম সোহাগ (৪২), মাগুরার শালিখা উপজেলার সীমাখালী গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আরিফ হোসেন (৩৬) এবং যশোর শহরের দড়াটানর নিউ ভৈরব হোটেল এন্ড রেস্ট্রুরেন্টের মেসিয়ার নুর ইসলাম (৪৪)।
বাদীর আইনজীবী জানিয়েছেন,দীর্ঘদিন ধরে তিনি যশোর শহরের জেলরোডে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ওষুধের ব্যবসা করে আসছিলেন। চলতি বছরের ১ জুন রাত ৮টার দিকে সকল আসামি বাদীর দোকানে গিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। রাজি না হলে খুন জখম করাসহ নানা ধরণের হুমকি দিয়ে চলে যায় আসামিরা। ৫ জুন গভীর রাত সাড়ে ১২টার দিকে সকল আসামি বাদীর ভাড়া বাসার দরজায় নক করে। দরজা খোলার সাথেই সকল আসামি ঘরের মধ্যে গিয়ে বাদীর স্বামীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। এরপরে বেড রুমে নিয়ে বাদীকে সকল আসামি পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এই বিষয়টি কাউকে জানানো হলে বা আইন আদালতে মামলা করা হলে বাদী ও তার স্বামীকে খুন করার হুমকী দিয়ে চলে যায়। সকল আসামিরা আওয়ামী ঘরানার হওয়ায় ওই সময় কোন মামলা করতে সাহস পায়নি বাদী তার পরিবার। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পরে পরিস্থিতি অনুকুলে আসায় আদালতে এই মামলাটি করেছেন।