বাজারে ইলিশের পর্যাপ্ত সরবারাহ থাকলেও দাম চড়া
শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ গেল ১৩ অক্টেম্বর হতে টানা ২১ দিন ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ মাছ মজুদ, পরিবহণ ক্রয়-বিক্রয়, আহরণ বন্ধ ছিল । এমনকি জেলেরা নদীতে কোন জাল ফেলতে পারেনি। প্রতিদিনের অভিযানে জাল জব্দসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়েছে খুলনা মৎস অধিদপ্তর। তবে নিষেধাজ্ঞা উঠার পর বাজারে বেশ ইলিশ এসছে। তবে আগের তুলনায় বেশ চড়া যাচ্ছে। এছাড়া আকারে এসব মাছগুলো ছোট ও মাঝারী সাইজের দেখা গেলেও বড় সাইজের ইলিশে দেখা যাচ্ছেনা। আর কিছু দেখা গেলেও দাম নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষের বাইরে। নদ-নদী থেকে জেলেরা মাছ ধরলেও অধিকাংশ এসব মাছের পেটের ভিতর ডিম দেখা যাচ্ছে। এসব মাছের অধিকাংশ চোখ লাল দেখা যাচ্ছে এতে করে বোঝা যাচ্ছে যে নিষেধাজ্ঞার অভিযানের মধ্যে এসব মাছ ধরা হয়েছে। কথা হয় ক্রেতা মোঃ তরিকুল ইসলামের সাথে তিনি বলেন, বাজারে ইলিশ মাছ বেশ সরবারাহ থাকলেও দাম অনেক। ২৫০ গ্রাম থেকে ৩০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ মাছ দাম হাকাচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত, ৪০০ গ্রাম থেকে ৫৫০ গ্রাম সাইজের মাছ ৮০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা, ৭৫০ গ্রাম থেকে ৯০০ গ্রাম বা তার বেশি সাইজের মাছ দাম হাকাচ্ছে ১২০০ টাকা। এছাড়া ১ কেজি সাইজের মাছ ১৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত তবে কেজির উপরে মাছের দাম আরও বেশি আমি বড় মাছের কাছে যাইনি। এছাড়া অন্য ক্রেতা মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, ইলিশ মাছের স্বাদের সাথে ভাই অন্য কোন মাছের তুলনা হয় না। এখন ইলিশের মৌসুমে মাছের দাম স্বাভাবিক থাকবে। এছাড়া অভিযান শেষ মাছ সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে বাজারে । তারপরও দাম বেশি এর কারণ হলো এখানে ব্যাবসায়িদের সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা একসাথে নিলামে মাছ ক্রয় করে নিয়ে টাকা অনুযায়ী মাছ ভাগা-ভাগি করে । তাই বাজরে যেই দোকানে যানে দেখবেন দাম একই। ত্ইা বাজার সিন্ডকেট না ভাঙ্গা পর্যন্ত ইলিশ মাছের দাম চড়া থাকবে। যেহেতু বেশ কয়েকদিন ইলিশ মাছ খেতে পারিনি তাই ৫টি ছোট সাইজের ইালিশ মাছ ৫৫০ টাকা দিয়ে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে বিক্রেতা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের আশেপাশের নদীর মাছ গুলোতে তেমনটি স্বাদ পাওয়া যাচ্ছেনা। তাই আমরা বরগুনা পাথরঘাটা হতে নিলামে মাছ ক্রয় করছি এখন সব মাছ ছোট সাইজের বড় ইলিশ জালে ধরা পড়ছেনা বা আড়তে দেখা যাচ্ছেনা। প্রতিমণ ইলিশ ক্রয় করতে হচ্ছে ২২ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা দরে। তবে আশা করি আগামী সপ্তাহ মধ্যে মাছের দাম আগের তুলনায় একটু ¯া^ভাবিক হবে।