স্থানীয় সংবাদ

১৫ কর্মদিবসের মধ্যে গল্লামারী ব্রীজের কাজ শুরু না করলে কঠিন কর্মসুচি

# বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর প্রতিবাদ সমাবেশে হুশিয়ারী #

খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ গল্লামারী ব্রীজ খুলনা শহরের প্রবেশদ্বার। এখান থেকে প্রতিদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী নিয়ে পরিবহন ও পন্য বোঝাই ট্রাক চলাচল করে। রোগী নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ক্লিনিকে এ্যামব্যুলেন্সের যাতায়াত। ব্রীজের ওপার খুলনা বিবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারিগন, বাটিয়াঘাটা, কৈয়া বাজার, ডুমুরিয়ার নিকটবর্তী অঞ্চলের মানুষের কর্ম, চাকুরি ও ব্যবসায়িক প্রয়োজনে প্রতিদিন খুলনা আসা যাওয়া করতে হয় তাদের চরম ভোগান্তিত পড়তে হচ্ছে। এই ভোগান্তি দুর করতে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে গল্লামারী ব্রীজের কাজ শুরু না করলে কঠিন কর্মসুচি ঘোষণা করা হবে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসী উদ্যোগে রাইসা ক্লিনিক সামনে গল্লামারী ময়ুর নদীর উপর নির্মিতব্য ব্রীজের কাজ বন্ধ রেখে জন ভোগান্তি সৃষ্টির প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তরা এসব কথা বলেন। ডা. মো. নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক এস এম মাহাবুবুর রহমান খোকনের পরিচালনায় বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘ দিন কাজ বন্দ থাকায় ব্রীজ নির্মানের বিভিন্ন উপকরন যত্রতত্র ফেলে রেখে যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি ছোট ছোট বাচ্চারা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা অসুস্থ মানুষের চলাচল চরম ভাবে বিঘœ ঘটছে, মাঝে মধ্যে ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে, অন্যদিকে দীর্ঘক্ষন যানযট লেগে থাকায় সাধারন মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্রীজটি দুই লেন বিশিষ্ট ৬৮.৭০ মিটার দৈর্ঘ্যর, ১৩.৭০ মিটার প্রস্থের এবং পানিরস্থর থেকে ৫ মিটার উচ্চতা দিয়ে ৬৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয় নির্মান কাজ ২০২৩ সালের শেষের দিকে শুরু করে ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলে ও কাজের ধীর গতিতে সেটি সম্ভব না হলে এক দিকে নির্মান ব্যয় বাড়বে অন্য দিকে জনগনের ভোগান্তি বাড়বে। এর পুর্বে ২০১৬ সালে ৭ কোটি টাকা ব্যয় এই নুতন ব্রীজ নিচু করে নির্মিত হয়। তার পুর্বেই সেদিন বৃহত্তর আমরা খুলনা বাসী ব্রীজের পাশ্বে প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছিল তারপর ও যাদের নেতৃত্বে সেদিন এই ত্রুটি যুক্ত ব্রীজটি নির্মান করে রাস্ট্র তথা জনগনের টাকা ক্ষতি সাধন করেছে ও দুর্নীতির সাথে জড়িতদের তাদের চিহিৃত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ঠিকাদারের লাইসেন্স কালো তালিকা ভুক্ত করে জরিমানা করতে হবে। জামানত বাজেয়াপ্ত করতে হবে। ব্রীজের দুই পাশ্বে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্ষতি পুরন দিতে হবে। অন্যথায় এই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে জনতার সার্থে কঠোর কর্মসুচি দেয়ার হুশিয়ারি দেয়া হয় সমাবেশে। সমাবেশে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন, পোল্টি ফিস ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, সাংবাদিক এম এ জলিল, সাংবাদিক মো. সিরাজ উদ্দিন সেন্টু, নাগরিক আন্দোলন খুলনার শেখ মো. রুহুল আমিন, বাব-এ সালাম লেন আবাসিক কল্যাণ পরিষদের সহ সভাপতি মো. মাহবুব হোসেন সোহেল, মো. আলতাফ আলী, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. মাহবুবুর রহমান শাওন, মো. রেজাউল হোসেন, বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সহ সভাপতি ডা. সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, ডা. আ. সালাম, এড. কাজি আমিনুল ইসলাম মিঠু, মো. কামরুল ইসলাম কামু, শেখ মোহাম্মদ আলী, কাওসারি জাহান মঞ্জু, মো. কামরুল ইসলাম ভুট্রো, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাকিল আহমেদ রাজা, আ. রাজ্জাক, মো. ইকবাল হোসেন তোকা, আ.মান্নান মুন্নাফ, মো. জয়নাল আবেদিন, ডা.মাহফুজুর রহমান বাচ্চু, মো. রেজওয়ান হোসেন, সাজ্জাদ চঞ্চল, মো. মাহাবুব, মো. ইয়াহিয়া, মো. তারেক রহমান লিটন, মো. জাভেদ আক্তার, মো. সবুজুল ইসলাম সবুজ, মো. মিকাইল হোসেন, মো. সবুজ শিকদার, তৈয়বুর রহমান, মো.আবু বক্কার, মো আজমল হোসেন প্রমুখ

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button