কেএমপি’র গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে বিদেশী পিস্তল ম্যাগজিন গুলি ও বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ১
# প্রেস বিফ্রিংয়ে ডিবির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)র গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে একটি বিদেশী পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ৮ রাউন্ড গুলি এবং বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রসহ একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছেন। গ্রেফতারকৃত হচ্ছে আলীনুর ডাবলুকে। শনিবার ( ১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন নাজিরঘাট এলাকা থেকে তাকে আটক করেছেন ডিবি পুলিশ। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে এ বিষয়ে প্রেসবিফ্রিং করেছেন কেএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার ( দক্ষিন) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠুসহ থানার ওসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
প্রেসবিফ্রিং করেছেন কেএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের সহযোগে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কর্তৃক ১৬ নভেম্বর রাত সড়ে ৮টায় সোনাডাঙ্গা থানাধীন নাজিরঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত সন্ত্রাসী আলীনূর ডাবলুকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় শরীর তল্লাশী করে তার কোমরে গোঁজা অবস্থায় ৩ রাউন্ড গুলি লোড করা ১ টি বিদেশী পিস্তল, অপর ১ টি ম্যাগাজিনে ৫ রাউন্ডসহ মোট ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করে তার প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে তার নাজিরঘাটস্থ নিজ বাড়িতে তল্লশী চালিয়ে তার বেড রুম থেকে ২ টি তলোয়ার, ৩ টি গুপ্তি, ১ টি চাইনিজ কুড়াল, ৩ টি হাতুড়ি এবং ২ টি ছুরি উদ্ধার করা হয়। এসময় উদ্ধারকৃত ১ টি গুপ্তিতে কাঁচা রক্তের দাগ লেগে থাকতে দেখা যায়। তাতে ধারণা করা যায় যে, সে সাম্প্রতিক সময়ে কোন অপরাধজনক ঘটনা সংঘটিত করেছে। আসামীকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতঃ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের উৎস, উদ্ধারকৃত অস্ত্র কোথায় কোথায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ব্যবহৃত হয়েছে, কোথাও ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল কিনা, আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে কারা জড়িত এর মূল রহস্য উদঘাটনপূর্বক জড়িত তার সহযোগী আসামীদেরকে গ্রেফতারের এবং আরো অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে । এ সংক্রান্তে তার বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা নং-২২, তারিখ-১৭/১১/২০২৪ খ্রিঃ রুজু করা হয়েছে। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। তার প্রকাশ্য কোন জীবিকার উৎস নাই। সে মাদক ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত। সিডিএমএস পর্যালোচনা করে জানা যায় যে, তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ একাধিক মামলা রয়েছে।