স্থানীয় সংবাদ

দৌলতপুর জুট প্রেস ইউনিয়নের নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে প্রতিবাদ সভা

স্টাফ রিপোর্টার ঃ দৌলতপুর জুট প্রেস এন্ড বেলিং ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের (রেজি নং -১১৫৫) ৬ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে প্রতিবাদ সভা বুধবার সন্ধ্যায় দৌলতপুর অনুষ্টিত হয়। দৌলতপুর জুট প্রেস ও বেলিং ওয়াকার্স ইউনিয়ন গত ৬ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে উল্লেখিত সংগঠনের নির্বাচন শুরু হয় বিকাল সাড়ে ৫ টায় পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহন চলে। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি পদপ্রার্থী মোঃ এনায়েত হোসেন। সভা পরিচালনা করেন সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী গাজী আব্দুল কাদের মাষ্টার (বীর মুক্তিযোদ্ধা)। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, নির্বাচনে ভোট কারচুরি ও জাল ভোট দেয়া হয়। আসলে প্রকৃত ২ হাজার ৫ শত ভোটের জায়গায় ৬ হাজার ৫ শত ভুয়া ভোটার বানাইয়াছে। আমি তার তীব্য নিন্দা জানাই এবং এই নির্বাচন বাতিল করিয়া পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাই। বর্তমানে জুট প্রেসে ১০-১২ জন মহিলা ভোটার হিসাবে কাষ্ট করে। সিনিয়র সভাপতি আব্দুল খালেক হাওলাদার বিপক্ষের কথা বললে বহিরাগত লোকজন দিয়ে জীবননাশের হুমকি দেয়। তিনি বলেন যে, পুলিশ দিয়ে ধরায় দিবে। ইতিমধ্যে ২-১ জন পুলিশ দিয়া ধরাইয়াও দিয়াছে। ৪০০ মহিলা ভোটার বানাইয়াছে। যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী রুমেল জোমাদ্দার তার বক্তব্যে বলেন, ভোট চুরি করিয়া জোর পূর্বকভাবে আমাদের ঘরে তালা মারিয়া রাখে একটি রুমে। আব্দুল খালেক হাওলাদার অসুস্থতার কথা বলিয়া নিজেই ভোট কেন্দ্রে থাকিয়া বেলা ৩:০০ টার পর লোকজন ও এজেন্টদেরকে সরাইয়া দিয়া চুরি করিয়া নিজেই লোকজন দিয়া ভোটের ব্যালট কাটিয়া বাক্সে ঢুকায়। ভোটের দুই দিন আগে খালেক হাওলাদার মনোনিত প্রার্থীদেরকে নিয়া সরাডাঙ্গী মাঠের কবরস্থানে যাইয়া শপথ গ্রহন করেন। তাহার মনোনিত প্রার্থীরা কয়েকজন বিজয়ী হইয়াছেন। মোঃ বাবুল মাতুব্বর, সিনিয়র সভাপতি পদপ্রার্থী তিনি বলেন যে, আমি ভোট দিতে গিয়া দেখিয়াছি এক ব্যাক্তির ভোটার এক নামে একাধিক হইয়াছে। সাত আট বছরের ছেলেরা ভোট দিয়া কার্ড নিয়া গেলে তাহারা তাহার ছবি না দেখিয়া কোন কিছু না যাচাই করে অবাধে ভোট দিয়াছে। তোমার পিতার নাম, কোন প্রতিষ্ঠান কোন বিভাগে কাজ করে কিছু না শুনেই কার্ড পাইলেই যাচাই বাছাই না করিয়া ভোট দিয়াছেন। মোঃ ফয়েজ আহমেদ, তিনি বলেন যে, ভুয়া ভোটের নির্বাচন আমি নিন্দা জানাই আমি পুনরায় জুট প্রেসের শ্রমিকদের ভোটের নতুন করিয়া নির্বাচনের দাবি জানাই। ভোটার কার্ডে সভাপতি স্বাক্ষর দিয়াছেন সাধারন সম্পাদকের স্বাক্ষর নাই। একক ক্ষমতাবলে সে সভাপতি নাম স্বাক্ষর করিয়া জাল ভোট বানাইয়াছেন। পরিশেষে সভার সভাপতি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন যে, আপনারা সবাই হুশিয়ার থাকবেন নির্বাচন কমিটি ও আব্দুল খালেক হাওলাদার আমাদের বিরুদ্ধে আর কোন ষড়যন্ত্র যেন না করিতে পারে। সভাপতি আরো বলেন যে, এই ভোট কারচুপির ব্যাপারে আমরা সকলে আইনগত ব্যবস্থা নিব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন-মোঃ বদিউজজামান জামাল,বাবু মাতুব্বর, ছিদ্দিকর রহমান মুন্সি,তোফাজ্জেল হোসেন মৃধা,হোসেন আলী,মোঃ কামাল হাওলাদার,আনোয়ার হোসেন ভুইয়া, রুমেল জোমাদ্দার,ইলিয়াছ মুন্সি,আবুল কালাম আজাদ,আলহাজ¦ আবু সাঈদ,আবুল বাশার, জামাল হোসেন,ছোরাফ হোসেন,কাজী ডালিম,ফরহাদ হোসেন,ফয়েজ খান, বসাতিয়ার হোসেন অ্যাইয়াচ, নাসির হাওলাদার,মিরাজ শিকদার,মোঃ মুরাদ হোসেন,মোঃ আলী,মোঃ আকবার সহ সকল পর্যায়ের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button