খুলনায় ৬ কেজি হাঁস বাসায় আনার পরে তিন কেজিতে পরিণত হচ্ছে
# ওজন বাড়াতে হাঁস ও মুরগীকে খাওয়ানো হচ্ছে পাথর সহ বিভিন্ন অপদ্রব্য #
# প্রতিদিন হাজার হাজার গ্রাহক প্রতারিত হচ্ছে #
আনিছুর রহমান কবির ঃ সারা বছর হাঁস-মুরগির চাহিদা থাকলেও শীত এলেই ধুম পরে হাঁস খাওয়ার। অথচ ওজন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অতিরিক্ত মুনাফার আসায় অসাধু উপায়ে খুলনার গল্লামারি, চুকনগর ও বড়বাজার এলাকায় হাঁস ও মুরগীর দুই পা বেঁধে পাড়ায় ধরে আঙ্গুল দিয়ে হাসের পেটে ভাত ও পাথর ঢুকানো হয়। স্থানীয় ক্রেতাদের অভিযোগ ৬ কেজি হাঁস কিনলে পাথর ভাত সহ বিভিন্ন অপদ্রব্য দিয়ে ৩কেজি মত কমে যায় অথচ এই ৩ কেজি সাধারণ ক্রেতা মাংস হিসেবে ক্রয় করছে। সুস্থ তদারকি না থাকায় প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ গ্রাহক। খুলনার ভোজন রসিকদের প্রিয় খাবার হাঁস ও মুরগী অথচ ওজন বাড়াতে এ সকল হাঁসের মধ্যে দেয়া হচ্ছে পাথর, খাওয়ানো হচ্ছে হাত-পা বেঁধে, পাথর সহ বিভিন্ন ওজন বৃদ্ধিকারী খাবার। যার বাস্তব চিত্র ধরা পড়ে দৈনিক প্রবাহের প্রতিবেদনের কাছে। বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে গ্রাহকই এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। আব্দুর রহিম নামের এক ক্রেতা বলেন, আমি ৬ কেজি হাঁস কিনে নিয়ে বাসায় গিয়েছি, কাটার পরে দেখি মাংস হয়েছে মাত্র তিন কেজি ।এটা কিভাবে সম্ভব হাঁসে কি তাহলে জাদু আছে।
ইমিতা নামের এক মহিলা ক্রেতা বলেন এরা আঙ্গুল দিয়ে ঢুকিয়ে ঢুকিয়ে ভাত পাথর এগুলো খাওয়ায়। আমি একটি হাঁস কেটে দেখি তার পেটের মধ্যে পাথর এবং গলা পর্যন্ত ভাত, যার ওজন হবে কমপক্ষে আধা কেজি। ব্যবসায়ীদের এ সকল অসৎ উপায়ে ধরতে দৈনিক প্রবাহের রিপোর্টার ভোর থেকেই ছদ্দবেশে উপস্থিত হন খুলনার বিভিন্ন বাজারগুলোতে এবং এ বিষয়ে হাতেনাতে ধরলেও কথা বলতে রাজি হন না ব্যবসায়ীরা। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি যেখান থেকে হাঁস কিনা কিনা আনা হয় সেখান থেকেই খাওয়ানো হয়। সুতরাং না খাওয়া হাঁস গ্রাহকরা কিনতেও চায়না দাম বেশি হওয়ায়। এক হাঁস ব্যবসায়ী পাথর খাওয়ানো অবস্থায় দৈনিক প্রবাহের রিপোর্টারের হাতেনাতে ধরা খেলে তিনি অস্বীকার করেন। এক মহিলাকে দিয়ে ওই ব্যবসায়ী খাওয়াচ্ছিলেন। আঙ্গুল দিয়ে গলার মধ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছিলেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ ওয়ালিদ বিন হাবিব বলেন, ভাত খাওয়ায় অন্যান্য উপদ্রক্ষয় শুনেছি তবে পাথর খাওয়ায় এটা প্রথম শুনলাম তবে অবশ্যই আমরা এসকল অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সাধারণ ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের দাবি দ্রুততম সময়ে এসকল অসৎ ব্যবসা বন্ধ হবে, সঠিক ওজনে বিক্রি হবে হাঁস মুরগি এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।