স্থানীয় সংবাদ

খুলনা মহানগরী জামায়াতের আলোচনা সভা বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে -অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

# শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে #

স্টাফ রিপোর্টার ঃ দেশের বুদ্ধিজীবীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, জীবনকে সত্যের সাক্ষ্য বানাতে দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে হবে। যারা বাংলাদেশে স্বাধীনতার ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন, যারা চিন্তা চেতনা বুদ্ধি ও ত্যাগ-কুরবানির বিনিময়ে দেশের সার্বিক কল্যাণের জন্য ভূমিকা রেখেছিলেন তাদের সবার জন্যই দোয়া করছি। আল্লাহ তায়ালা যেন তাদের পুরস্কৃত করেন। তিনি গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধিজীবীদের সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে মহান বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে জাতিকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।’ তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের যথাযথ মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং শহীদদের পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলালের পরিচালনায় নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম ফারাজী, মহানগরী কমপরিষদ সদস্য মাওলানা আ ন ম আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা শেখ মুহাম্মদ অলিউল্লাহ, মুকাররম আনসারী, মাওলানা শাহারুল ইসলাম, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, এ্ডভোকেট শফিকুল ইসলাম লিটন, অধ্যাপক জুলফিকার আলী উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, বুদ্ধিজীবী তারাই যারা জনগণ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করে। রাষ্ট্রীয় অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এবং ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ায়। যারা নিজের নফসকে ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে তারা বুদ্ধিজীবী নয় বরং তারা গাফেল। আর এই গাফেলরা মহান আল্লাহ নেয়ামতের শুকরিয়াও আদায় করে না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে দেশ স্বাধীন করা হলো অথচ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার উঠিয়ে দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করে।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে বিজয় অর্জনের পর যারা জাতিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দিতে চায়নি, তারাই এই নির্মম ও নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের নেপথ্যের শক্তি। স্বাধীন বাংলাদেশে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সারের ভাই জহির রায়হারের অন্তর্ধান এখনও রহস্যাবৃত। তার কী পরিণতি হয়েছে এখনও পর্যন্ত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মূলত জহির রায়হান বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন বলেই রহস্য প্রকাশ হওয়ার আগেই তাকে অপহরণ ও হত্যা করা হয়েছে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button