রূপসায় হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

রূপসা প্রতিনিধি ঃ রূপসায় আধিপত্ব বিস্তারের লক্ষ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরিফুজ্জামান গিয়াসের (৪৫) উপর নির্মম হামলার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও আসামীরা কেউ গ্রেফতার হয়নি। বরং তারা এলাকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের হুমকি-ধামকি দিয়ে চলেছে। এঘটানায় তীব্র প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এক মানববন্ধন গত ১৪ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়নের আব্দুলের মোড়ে অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে শত শত নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করে। অপরদিকে হামলার শিকার আরিফুর রহমান গিয়াসের মাথার চাড়া ভেঙ্গে সেখানে অনাবৃত্ত থাকা অবস্থায় ঢাকা সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, আব্দুস সাত্তার মোল্লা, ইস্কান্দার আলী শেখ, ফরিদ শেখ, রাহুল শেখ, সৈয়দ মিন্টু, সৈয়দ লিটু, সৈয়দ জাহিদ, রুপা মোল্লা, আহমদ ঢালী, মোস্তাফিজুর রহমান, মনির শেখ, শারমিন বেগম, ঝরনা বেগম, খুকুমণি প্রমূখ। উল্লেখ্য, হামলার শিকার আরিফুজ্জামান গিয়াস গত ২৯ নভেম্বর তার বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার টিকিট দেয়। নাসির মল্লিক জনৈক রুহুল শেখের মাধ্যমে ৫০০ টাকা এ্যাডভ্যান্স করে একটি ঘাট নেয়। নাসির মল্লিক ওই ঘাটে ভোর ৬টা হতে সকাল ৯টা পর্যন্ত মাছ মেরে চলে যায়। পরে উক্ত নাসির মল্লিক তার দেওয়া ৫০০টাকা ফেরত চেয়ে গোলমাল সৃষ্টি করে। এঘটনার জের ধরে গত ৮ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৮টায় রাইফেলের মোড় নামক স্থানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মামলার এজাহারভুক্ত আসামী দুর্জ্জনী মহল গ্রামের মুঃ আব্দুল জব্বার মল্লিকের ছেলে জাফর মল্লিক (৪৬), মৃতঃ আব্দুর রহমান মল্লিকের ছেলে নাসির মল্লিক (৫০), আশিক মল্লিক (২৫), হাসিব মল্লিক (২৭), অনিক মল্লিক (২২), মৃতঃ মুনা মল্লিকের ছেলে আব্দুস সাত্তার মল্লিক (৬০), আব্দুস সাত্তার মল্লিকের ছেলে সাজ্জাত মল্লিকসহ (২৫), অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জন বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আরিফুজ্জামান গিয়াসের উপর আকস্মিক হামলা চালায়। এসময় আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা আরিফুজ্জামান গিয়াসকে মূমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ার জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক তাকে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গাজী মেডিকেলের সংশ্লিষ্ট ডাক্তার সিটি স্কান করে জানায় তার মস্তিকে রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। এসময় তাকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে রেফার্ড করেন। এদিকে ঘটনার তিনদিন পর আরিফুজ্জামান গিয়াসের ভাই মোঃ সাইফুল ইসলাম ছোটন মীর বাদী হয়ে রূপসা থানায় হত্য প্রচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৮, তাং ১১/১২/২৪, ধারা ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/১১৪/৫০৬ পেনাল কোড দঃবিঃ। তবে আরিফুজাজামানের মাথার চাড়া খুলে আলাদা হওয়ার পরও ৩২৬ ধারা না দেওয়ায় মামলার বাদী, স্বাক্ষী ও স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।



